May 4, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

খুলনায় অপহরণের ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিশু উদ্ধার, দুই অপহরণকারী আটক

দ. প্রতিবেদক
খুলনায় অপহরণের ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাইছা আক্তার রোজা (৩) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। মহানগরীর মিয়াপাড়া থেকে মঙ্গলবার সকালে শিশুটি অপহৃত হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে খুলনা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া মিয়াপাড়া থেকে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জনি মোল্যার চার বছরের মেয়ে রাইছা আক্তার রোজাকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পার্শ্ববর্তী এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জনি মোল্যার স্ত্রী নাসরিন বেগম বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো হদিস না করতে পেরে অবশেষে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর নাসরিনের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সেই মোবাইল নম্বর ট্রাকিং করে মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে অপহৃত শিশু রোজাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত রুবিনা আক্তার (৪৫) ও তার স্বামী ফারুক বিশ্বাসকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়। ফারুক বিশ্বাস কুষ্টিয়ার কাঞ্চনপুর এলাকার আবু তালেব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রীসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন জেলায় শিশু অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে যে ফোন কলটি এসেছিল আমরা সেটা ট্রাকিং করে আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হই। পরে দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। অপহরণকারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা বিভিন্ন স্থানে ছদ্দবেশে ঘুড়ে বেড়ায় এবং নজরদারি করে। নানা অজুহাতে তারা যেকারও বাসায় ঢুকে যেতে পারে। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পুরো চক্রটিকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিশু রোজাকে নিজের কাছে ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলে মা নাসরিন বেগম। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, পুলিশের এই ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। তারা এত দ্রুত আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে সেটা ভাবতে পারিনি। এসময় উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে কেএমপির পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *