April 20, 2024
লেটেস্টসাক্ষাৎকার ও মতামত

৭৫, আগষ্ট ১৫

সাগর সিদ্দিকী
ঠিক ৬.৩০ মিনিট। রেডিওতে ঘাতক মেজর ডালিমের ঘোষণা পুনঃপুন প্রচারিত হচ্ছিল, -” আমি মেজর ডালিম বলছি…..”
বাংলার খেটে খাওয়া মানুষেরা এই সময়টাতেই নিত্যদিনের ন্যায় মাঠে কাজ করবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নতুন করে স্বপ্ন বুনতেছিল তাদের শেষ সম্বলগুলো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার। যুবক বৃদ্ধদের কেউ কেউ মাত্রই প্রার্থনা শেষ করে ঘরে ফিরেছে। কেউ বইয়ের পাতায় চোখ বুলচ্ছিল অথবা সংবাদপত্রে। কেউ নিয়মমাফিক রেডিওতে চ্যানেল ঘুরাচ্ছিল।

ঠিক তখনই বাঙ্গালি জাতির শতবছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত, পৈশাচিক, হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে চলেছে। হত্যাকান্ডের বিষক্রিয়া তীরের মতো করে বাঙ্গালিদের কানে প্রবেশ করে। কেউ কখনো ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি, একটি ঘোষনা তাদের হৃদয়কে এভাবে ছিন্নভিন্ন করে দিবে। পুরো জাতি একেবারে স্তব্ধ। কারো মুখে কোন ভাষা নেই, নীরবে চেয়ে ছিল একে অন্যের দিকে। তারা যদি বুঝতে পারত তাদের জন্য এরকম সংবাদ অপেক্ষা করছে, হয়ত তারা আর কোন সংবাদই কখনো শুনত না।

তারা কীভাবে পিতা হত্যার খবর শুনবে ?
পিতা মুজিবের জন্য তাদের জায়গাটা তো অনেক উচুতে ছিল। সেটা আসলে লিখে প্রকাশ করা যায় না। ভালবাসাতে ছিল না কোন খাদ।
আসলে তাকে কতটাই ভালবাসত বাংলার মানুষেরা ?
যতটা ভালবাসা একজন আপনজন, আত্নার আত্মীয় এই পার্থিব জীবনে নিঃস্বার্থভাবে পেতে পারে। বাংলার প্রকৃতি, প্রকৃতির প্রতিটি বিন্দুকনাও তাকে নিজের সন্তানের মতো ভালবাসত। পাখিগুলোও মুক্ত বিহঙ্গ মেলে ধরে তার নামে জয়ধ্বনি দিত।

মুজিব আসলে কে ছিলেন ?
মুজিব ছিলেন বাংলার রাখাল রাজা। তিনি বাঙ্গালির সেই অবিসংবাদিত নেতা, যার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখত, সাধারণ মানুষ যার কন্ঠে কথা বলত, তিনি রাজনীতির কবি, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির স্রস্টা, বাংলাদেশ মহাকাব্যের মহানায়ক, তিনিই হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালি।
আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিব।
পিতা মুজিবের দিকে তাকালে অবাক হতে বাধ্য হই, কন্ঠস্বর ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। একজন মানুষ আসলে কতটা নির্মোহ হতে পারেন, সবকিছুর উর্দ্ধে থেকে কীভাবে বাংলার আপামর জনসাধারণকে এতটা ভালবাসতে পারেন।

তিনি এদেশের মানুষকে ঠিক কতটা বিশ্বাস করতেন ?
ভারতের “রিসার্চ এন্ড আ্যনালাইসিস উইং -র ” এর পক্ষ থেকে ১৫ আগষ্ট হত্যাকান্ডের আগে অন্তত দুইবার বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এই নিরাপত্তাহীনতার কথা বিশ্বাস করেননি। ‘র’ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান রমেশ্বর নাথ কাও বা আর এন কাও যখন ৭৪ এর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন, তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আর যাই হোক এদেশের লোকেরা আমাকে হত্যা করতে পারেন না, এরা আমার সন্তান।” পরবর্তীতে ১৯৭৫ এর মার্চেও ‘র’ এর পক্ষ থেকে আবারো বঙ্গবন্ধুকে হুমকির কথা সতর্ক করা হয়েছিল কিন্তু কোন কথাই আমলে নেননি। তিনি বাংলার মানুষকে অসম্ভব বিশ্বাস করতেন।

কিন্তু কতটা নৃশংস, ভয়ঙ্কর, কাপুরুষোচিত ভাবে ১৫ আগষ্ট দিনটি জাতির সামনে আসল। সমগ্র জাতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হলো, রক্তাক্ত করা হলো বাংলার মাটিকে । জাতির পিতাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো।

কারা ছিল এই কতিপয় নরপিশাচ ?

যাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হলো শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, পুরো বাঙ্গালি জাতিকে। জাতিটি তাদের পিতাকে চিরতরে হারাল।

ভাবলেই কাটা দিয়ে ওঠে পুরো শরীর রাগে, ক্ষোভে। এই নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পরের সময়গুলোতেও কতটা সাবলীল ছিল ঘাতকেরা, তাদের দোসররা, পৃষ্ঠপোষকরা এবং তথাকথিত সুবিধাভোগী শ্রেণী —

সরাসরি ষড়যন্ত্রকারী যে গ্রুপটি হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল তাদের মুল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু। ধানমন্ডি ৩২, বাড়ি নং – ৬৭৭।

বাকি জান্তা গ্রুপ দুটি বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ফজলুল হক মনি এবং ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে সপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুটে চলে।

১ম ল্যান্সারের মেজর ফারুক এবং ২য় ফিল্ড আর্টিলারীর মেজর রশিদ ছিল প্রধান পরিকল্পনাকারী। এই দুটি ইউনিটের সৈনিকরাই সরাসরি অপারেশনে অংশ নেয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ববরোচিত হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিল খুবই ঠান্ডা মাথায় এবং পৈশাচিকভাবে।

হত্যাকান্ডের পরেও ঘাতকরা রক্তের নেশায় কতটা মত্ত ছিল। পরিস্থিতির কারনেই প্রত্যেকেই নায়ক হতে চেয়েছিল। হত্যাকান্ডকে তারা মহান কর্ম হিসাবে বিবেচনা করেছে। ইতোমধ্যে তারা ” জাতির সূর্য সন্তান ” হিসাবে খেতাব পেয়েছে আরেক কুলাঙ্গার, খুনী খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে।

পরবর্তীতে আমরা দেখেছি
বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনী ও কুশীলব কে ছিলেন তা নিয়েও ঘাতকেরা দ্বিধায় পড়ে যায়। ঘাতক ফারুক ও রশিদ ঘটনাটি তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে প্রচার করলেও কুখ্যাত মোশতাক গং তাদেরকে টেক্কা দিতে শুরু করে এবং তারা টেক্কা দিয়েছিলও। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিবৃতিতে বিশ্বাসঘাতক তাহের উদ্দিন ঠাকুর নিজেদের মূল কুশীলব হিসাবে প্রকাশ করে।

এমনকি মেজর ফারুক এবং মেজর রশিদও নিজেকেই প্রধান খুনী হিসাবে পরিচয় দিয়েছে। এই বিষয়ে দুই ভায়রা ভাইয়ের মধ্যে অমিল লক্ষ্যনীয়। কেউ কারো একক আধিপত্য মেনে নিতে বড্ড নারাজ।

কতটা নারকীয়তা, পিশাচতা তাদেরকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল । এমনকি পিতার বুকে কে গুলি করেছিল প্রথমে অথবা কারগুলিতেই পিতার বুক ঝাঁঝড়া হয়েছিল। এক্ষেত্রেও ঘাতকরা নিজের নামই সর্বাগ্রে উপস্থাপন করতেছিল।

বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমনের মুল দায়িত্বে ছিল ঘাতক মেজর মহিউদ্দিন ও মেজর হুদা। মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর সরাসরি খুনী হিসাবে ঘাতক মেজর নুরের নামই বলেছেন। এমনকি মেজর নুর কোন রকম রাখঢাক না রেখেই সরাসরি হত্যাকারী হিসাবে নিজেকেই জাহির করেছিল।
আবার কেউ কেউ ঘাতক হিসাবে বলতেছিল রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নাম অথবা অন্য কোন জনৈক ল্যান্সারের কথা।

এই ধরনের পরিস্থিতি আসলে সৃষ্টি করেছিল বিভিন্ন স্থরের সুবিধাভোগী শ্রেণী আর পৃষ্ঠপোষকরা। নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সুবিধাভোগী শ্রেণী ঘাতকদের প্রচুর তেলমর্দন করতেছিল অবিরত। কেউ সরাসরি দেখা করে, কেউবা ফোনে টেক্সট পাঠিয়ে, কেউবা উপঢৌকন পাঠিয়ে, ভাল ভাল প্রশংসায় পরিপূর্ণ কথা বলে। প্রশংসা আর অভিনন্দনের বন্যায় ঘাতক মেজরদের করায়ত্ব বঙ্গভবন প্রায় ভেসেই যাচ্ছিল।

সুবিধাবাদী শ্রেণীর মধ্যে ছিল সেনাবাহিনীর অফিসার, বিমান ও নৌবাহিনীর অফিসার, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এমনকি সরকারি কর্মচারীরাও।

এরা আসলে সবাই বঙ্গবন্ধুর খুনী। কেউ হয়ত সরাসরিই গুলি করে আর কেউ হয়ত সবকিছু মেনে নিয়ে হত্যাকারীদের সর্বাত্তক সহযোগিতা করে। পার্থক্য শুধু এইটুকুনই।

সেনাবাহিনীর তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ থেকে শুরু করে প্রায় সবাই ছিলেন একদম নীরব। সবাই শুধু একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিল। কেউ কোন ভুমিকা পালনের চেষ্টাটুকুও করেননি। একটি গ্রামীন প্রবাদ খুব মনে পড়ে যাচ্ছে ” আগে গেলে বাঘে খায়, পড়ে গেলে সোনা পায়।” এই নীতির উপরেই সবাই অটল ছিল। হয়তবা অফিসারদের কেউ কেউ আগে থেকেই অবগত ছিল হত্যাকান্ড সমন্ধে অথবা গোপনে হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। একটি বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি – জিয়া প্রসঙ্গে।

মুজিব হত্যার ঘটনা কর্নেল সাফায়াত জামিলের কাছে ভোর বেলায় শোনার পর তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান মেজর জিয়াউর রহমানে’র অবয়ব অনেক কথাই পরিষ্কার বলে দেয়। কর্নেল জামিল গিয়ে জিয়াকে বলেন,”শেখ মুজিব হ্যাজ বিন কিল্ড।”
উত্তরে জিয়া বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ইজ ডেড। সো হোয়াট ? ভাইস প্রসিডেন্ট ইজ দেয়ার। ইউ শুড আপহোল্ড দ্যা কন্সটিটিউশন।”
তার পরবর্তী সময়ের ভুমিকা ছিল আরো কলঙ্কজনক। হত্যাকারীদের পুরষ্কারস্বরূপ ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী প্রদান করা এবং কয়েকজন চাকুরী নিতে অস্বীকার করলে রাজকীয়ভাবে জীবনযাপনের নিশ্চয়তা প্রদান। শুধু তাই নয় ১৫ আগষ্টের খুনীদের দায়মুক্তি দিয়ে ১৯৭৯ সালে সংবিধানে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স যুক্ত করেন।
১৯৭৬ সালের ২৬শে মে ঘাতক মেজর ফারুক ৭৫ এর হত্যাকান্ড সমন্ধে জিয়াউর রহমানকে উল্লেখ করে সানডে টাইমস পত্রিকার ১১ নং পৃষ্ঠায় বিবৃতি প্রদান করেন, “ইউ হেল্পড টু কিল মুজিব, ডেয়ার ইউ পুট মি ওন ট্রায়াল।”
খুনী খন্দকার মোশতাক এবং তার দোসর চক্র ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড সম্পন্ন করার পর মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমতার চাবিকাঠি হাতে পেয়ে যান।
দিনটি ছিল শুক্রবার। দুপুরের আগেই ট্যাংকবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে এবং কিছু সময় পরেই চমকের পর চমক শুধুই বিশ্বাসঘাতকতার। দুপুরের পরেই নবগঠিত মন্ত্রীসভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার প্রায় সকলেই মোট ২১ জন শপথ গ্রহন করেন। কোন প্রতিবাদ কেউ করেনি, তারাই ছিল অন্যতম সুবিধাভোগী অথবা পৃষ্ঠপোষক।

৭’ই জুন ১৯৭৫ সালে গঠিত বঙ্গবন্ধু’র হাতে গড়া বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) এর ১৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি এবং ১১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও কোন সরব প্রতিবাদ অনুপস্থিত। বিকালের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতি, নতুন মন্ত্রীসভা, নতুন প্রশাসন গঠন করে ফেলে খুনী মোশতাক।

শুধু অনুপস্থিতি বঙ্গবন্ধুর , এখনো তার নিথর দেহখানি ধানমন্ডি ৩২ এর ৬৭৭ নং বাড়িতে পড়ে আছে। কতটা নৃশংস, নরপিশাচ, অমানবিক ছিল ৭৫ এর ঘাতকরা এবং তাদের সমর্থনকারী শ্রেনী।

বিশ্বাসঘাতক, খুনী খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় আসলেন, পাশে থাকল অগনিত মোশতাক। রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার মহান স্লোগান “জয় বাংলা” কে সরিয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ ” এর অনুরুপ “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ” নাম ধারন করে পাকিস্তানি প্রেতাত্তাদের মন জয় করে ক্ষমতার মসনদে বসলেন খুনী মোশতাক গং। বিদেশি আরো কিছু প্রেতাত্তা তাদের জাতভাইকে ক্ষমতায় দেখে পুলকিত হয়ে উঠল।

মার্কিন প্রশাসনের এই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা ছিল কিনা তা নিয়ে বহু আলোচনা আজো চলমান। মার্কিন সাংবাদিক লিফশুলৎজ ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ডে মার্কিন প্রশাসনের সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন। তবে ইতিহাস দেখেছে মার্কিন প্রশাসন কীভাবে খুনী মোশতাক সরকারের সাথে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করেছিল।
অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বহু বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও কিছু রায় কার্যকর এখনো অবশিষ্ট রয়ে গেছে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রায় ৪৫ বছর হয়ে এলেও এখনো সকল ঘাতকের শাস্তি সম্পন্ন হয়নি। খুবই দুখঃজনক।

খুনীদের প্রজন্ম এবং তাদের মতাদর্শ যারা ধারন করেন সেই গোষ্ঠী এখনো বিভিন্নভাবে স্বোচ্চার। বিভিন্নভাবে তারা মাথা তুলবার চেষ্ঠা করে। তাদেরকে সর্বাত্তোকভাবে নির্মূল করা না গেলে জাতির পিতা হত্যার বদলা পরিপূর্ণ হবে কী ?

জাতির জনক এখন আমাদের মাঝে নেই। তবে তার আদর্শ ধারন ধারন করে আজো রাজপথে রয়েছেন কোটি অন্তপ্রান আদর্শিক সেনানী। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সেদিন বেঁচে গিয়েছিল দূরদেশে থাকার বদৌলতে। অবশেষে অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম ১৯৮১ এর ১৭’মে শেখ হাসিনা আলোক বর্তিকা হাতে নিয়ে বীরের বেশে স্বদেশে প্রোত্যাবর্তন করেন। সেই থেকেই জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন “সোনার বাংলা” বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদরের হাসু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

লেখক : ছাত্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

0 thoughts on “৭৫, আগষ্ট ১৫

  • খুব সুন্দর লিখেছেন

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *