May 6, 2024
জাতীয়

ফণীতে ফসলের ক্ষতি সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা

 

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের ৩৫ জেলার ২০৯টি উপজেলার ৬৩ হাজার হেক্টর জমির বোরো, সবজি, ভুট্টা, পাট ও পান ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান, তিন হাজার ৬৬০ হেক্টরের সবজি, ৬৭৭ হেক্টর জমির ভুট্টা, ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমির পাট এবং ৭৩৫ হেক্টর জমির পানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রণোদনামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। বোরো মৌসুমে ফসল কাটার সময় গত শনিবার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ঢুকে মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ফণী। এসব এলাকায় অনেক ক্ষেতের পাকা ধান ঝড়ের বাতাসে শুয়ে পড়ে।

ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার ঝোড়ো বাতাস নিয়ে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে ঢোকার সময় এর গতি ৮০ কিলোমিটারে নেমে এসেছিল। ফলে দেশে ফসলের ক্ষতি ‘ততটা হয়নি’ বলে দুদিন আগে জানিয়েছিলেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ কোটি ১০ লাখ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়, এ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফণীর কারণে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, ল²ীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় ফণীর কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান রাজ্জাক। তিনি বলেন, ২০১৯-১০ খরিপ মৌসুমে (এপ্রিল থেকে নভেম্বর) রোপা আমন ধানের বীজ ও চারা চারা উৎপাদন ও বিতরণ এবং মাসকালাই বীজ বিতরণ করা হবে কৃষকদের মধ্যে।

পাশাপাশি ২০১৯-২০ রবি মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম ও মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার দেওয়া হবে। এছাড়া শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *