May 19, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন নিরাপদ করতে হাই কোর্টের নির্দেশ

 

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

জরিপ চালিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ বা ত্র“টিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো নিরাপদ করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

স¤প্রতি বরগুনার তালতলীর ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের বিম ধসে পড়ে এক শিশু নিহত হওয়ার পর এই রিট আবেদনটি করা হয়। গত এপ্রিল মাসের শুরুতে ওই ঘটনার পর ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যেই সব স্কুল-মাদ্রাসার ভবন চিহ্নিত করার আদেশ এল আদালত থেকে।

স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারকে সারাদেশের এ স্তরের শিক্ষাঙ্গনগুলো ‘পরিবেশ শিক্ষাবান্ধব’ করতেও বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে একটি রুলও দিয়েছে হাই কোর্ট। দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই স্তরের শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিরাপদ ও শিক্ষাবন্ধব করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল­ব। তার সঙ্গে সাথে ছিলেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক ও মো. মাজেদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পল­ব সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুল-মাদ্রাসার ভবন নিয়ে স¤প্রতি পত্র-পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন, খবর প্রকাশ হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর অধিকাংশই ঝঁকিপূর্ণ। শুধু তাই না, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয় আদালতে তুলে ধরা হয়েছে। আদালত এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দিয়েছে।” অন্তর্বর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আগামী ২১ আগস্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

বরগুনার ঘটনার পর দেশের আরও কয়েকটি স্কুলে দুর্ঘটনার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেসব প্রকাশিত খবর যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও বেসরকারি আইনগত সহায়তাকারী ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *