May 20, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

দুই মামলায় ইরফান সেলিম ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে চকবাজার থানায় হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (০৮ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় তাদের তিনদিন করে এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার মাদক মামলায় দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। গত ২৯ অক্টোবর এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র ও মাদক আইনে দুজনের বিরুদ্ধে দুটি করে চারটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ প্রত্যেকের ১৪ দিন করে রিমান্ড চান।

সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার গ্রেফতার দেখানোসহ তাদের অস্ত্র মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে তার বাসা থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে দুটি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান এবং বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও তিনটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।

অভিযানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আশিক বিল্লাহ আর বলেন, ইরফানের বাসা থেকে জব্দ হওয়া দুটি বিদেশি পিস্তল ও মাদকদ্রব্যের বিষয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি এবং দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে একই আইনে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে।

এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলায় ইরফান সেলিমসহ চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *