April 27, 2024
করোনাজাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

করোনাভাইরাস: দৈনিক শনাক্তের হার ২.৭৯%

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে।

সবশেষ গতবছরের ৬ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। আর গত ২৯ জানুয়ারি সাতজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৪৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

তাতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। আর দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ হাজার ১৮২ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪২৪ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৪৯ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৮৫ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৫৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৩টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *