May 9, 2024
লেটেস্টসম্পাদকীয়

আসুন গাছ লাগাই, আমাদের চারপাশ হয়ে উঠুক বৃক্ষময়

বৃক্ষের সাথে মানুষের জীবন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বৃদ্ধি করে না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না।

আমাদের জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ থেকে পাওয়া অক্সিজেন গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ থেকে তন্তু আহরণ করে আমাদের পরিধেয় বস্ত্র প্রস্ত্তত করা হয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়। আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়। ফলে বৃক্ষের রয়েছে জীবন ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা। জীবজগতকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্য প্রাণীকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে।

প্রতিবার, গ্রীষ্মকালে দাবদাহে খর হয়ে যখন পুড়তে থাকে চারপাশ, মানুষ গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন, তখন ছায়াশুশিতল বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা মানুষ ভাল মত উপলব্ধি করেন। চৈত্রের দাবদাহে মানুষের জীবন তখন ওষ্ঠাগত। কিন্তু যখন আষাঢ় শ্রাবণে বৃষ্টির ফোটা পড়তে শুরু করে, শান্তির হিমশীতল পরশ পেতে থাকে প্রকৃতি, মানুষ নিকট অতীতের কথা ভুলে যান, তাঁর আর বৃক্ষের কথা মনে থাকে না। আষাঢ় শ্রাবণ অতিক্রান্ত হয়ে যায়, খুব কম সংখ্যক মানুষ গাছ লাগান। এমনটাই হচ্ছে, হয়ে চলেছে। কিন্তু আর নয় অবহেলা। আসুন বাড়ির আশেপাশে, এমন কি পতিত জমি যা পড়ে আছে, পরিচর্যার লোক নেই এমন জায়গাতেও ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করা যাক। আসুন আমরা বেশী বেশী বৃক্ষ রোপণ করি। নিজে করি, অন্যকেও সেই সাথে উৎসাহিত করি। বৃক্ষরোপণ বিষয়টা সামাজিক আন্দোলনে রুপ নিক। আমাদের চারপাশ হয়ে উঠুক বৃক্ষময়।

শেয়ার করুন: