ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মুদ্রাপাচার আইনের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গতকাল রবিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের কাছে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়। বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণের পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ঠিক করেন বলে আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ জানিয়েছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
মিজানুর রহমান এবং তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান এখন করাগারে রয়েছেন। পলাতক থাকায় মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত আগামী ৩ মার্চ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
এ মামলায় মিজান গতবছরের ১ জুলাই হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মাহমুদুল রাজধানীর কোতয়ালী থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানুর রহমানকে। তার বৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলার মধ্যেই দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৬ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। এই মামলায় মিজান-বাছির দুইজনই আসামি। ঘুষকাÐের পর এনামুল বাছিরও সাময়িক বরখাস্ত হন।