১৩ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল খুলনা নগর ও জেলা আ’লীগ
জয়নাল ফরাজী
অবশেষে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এ কমিটির অনুমোদন দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এবারের কমিটিতে প্রবীণদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে নবীনদের। যাদের বেশিরভাগ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। আবার বিগত কমিটির অনেকেই এবারের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। যা নিয়ে হতাশ সেসব নেতারা।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে সভাপতি ও এমডি এ বাবুল রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর কমিটি এবং শেখ হারুনুর রশিদকে সভাপতি ও এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারীকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যার প্রায় ১৩ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো। দুটি কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭৪ জন।
নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজি আমিনুল হক, সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী, কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, শেখ শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ। যুগ্ম সম্পাদক তিনজন হলেন অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু ও মো. আশরাফুল ইসলাম।
কমিটিতে আরও রয়েছেন- আইন সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী আকবর টিপু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. শাহাজাদা, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুন্না, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাঁজা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, শ্রম সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ। সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হলেন শেখ ফারুক হোসেন, আবুল কালাম আজাদ কামাল ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির। উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল এবং কোষাধ্যক্ষ শেখ নূর মোহাম্মদ।
কমিটিতে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে ৩৫ জনকে। তারা হলেন- বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, এ্যাড. চিশতী সোহরাব হোসেন শিকদার, আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, শেখ আনিসুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ মোশারাফ হোসেন (কাউন্সিলর), শেখ মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধ স ম রেজওয়ান, আবদুল্লাহ হারুন রুমি, আজগর আলী মিন্টু, অধ্যাপক রুনু ইকবাল, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, শেখ আবিদ হোসেন, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম বাশার, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, মো. তরিকুল ইসলাম খান, কাজী জাহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমানবিশ্বাস, মো. গাউসুল আযম, মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান সাগর, আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান খোকন ও এস এম আকিল উদ্দিন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. এম এম মুজিবুর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলওয়ারা বেগম, অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, বিএমএ সালাম, মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান। যুগ্ম সম্পাদক তিনজন হলেন সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল ও এ্যাড. ফরিদ আহমেদ।
কমিটিতে আরও রয়েছেন- আইন সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অজয় সরকার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তারিক হাসান মিন্টু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান (জবা), বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিবুল ইসলাম লাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কেরামত আলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. মনোরঞ্জন মন্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম (রাসেল), শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্লা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বাবলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ। সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হলেন সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল ও খালেদীন রশিদী সুকর্ন। উপ-দপ্তর সম্পাদক সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাইরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ জি এম মাহবুবুল আলম।
কমিটিতে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে ৩৫ জনকে। তারা হলেন- শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, আকতারুজ্জামান বাবু এমপি, ননী গোপাল মন্ডল, খান নজরুল ইসলাম, মেহের নিগার স্বপ্না, শেখ মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম খান, শেখ আকরাম হোসেন, শেখ আবুল হোসেন, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জি এম মহসিন রেজা, শেখ শহিদুল ইসলাম, গাজী এজাজ আহম্মেদ, কামাল উদ্দিন বাদশা, অসিত বরণ বিশ্বাস, অধ্যক্ষ ফ ম সালাম, বুলু রায় গাঙ্গুলী, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, ফারহানা হালিম, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, শিউলী সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, এস এম জাহিদুর রহমান, অমিয় অধিকারী, আনিসুর রহমান মুক্ত, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, নান্টু রায়, মোঃ জামিল খান ও হায়দার আলী মোড়ল। এছাড়া জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে সাবেক এমপি আলহাজ¦ মোল্লা জালাল উদ্দিনকে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ