May 4, 2024
আঞ্চলিকফিচারলেটেস্ট

সাড়ে সাত লক্ষ টাকার ইজিবাইক

বিপুল কান্তি চৌধুরী : কথায় বলে শখের তোলা আশি টাকা। ভাবুনতো ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের বাজারমূল্য কত টাকা হতে পারে? বড়জোর দেড় লাখ টাকা।তবে এক্ষেত্রে আলাদা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার আবুল কালাম আজাদের ইজিবাইক। যেটা তৈরি করতে খরচ হয়েছে আনুমানিক সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।

ইজিবাইকটিতে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, দুটি মনিটর, একটি সাউণ্ড বক্স,ফ্যানের ব্যবস্থা, বসার জন্য ছয় সাতটি সুসজ্জিত চেয়ার।সমস্ত ইজিবাইকটিকে সাজানো হয়েছে স্প্রীডবোর্ডের আদলে। যেটার নাম রাখা হয়েছে রাস্তার ডিজিটাল স্প্রীডবোর্ড।এটি চালানো হয় মঠবাড়িয়ার হরিণপালা নামক ইকোপার্কে।সমস্ত পার্কটি ঘুরতে ভাড়া লাগে পঞ্চাশ টাকা।

ইজিবাইকের সামনে রয়েছে একটি ফ্যান যেটি স্প্রীডবোর্ডের আদলে লাগানো। ইজিবাইকটি রাত্রে এক অসাধারণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে ইকোপার্কটিতে।রাত্রে চলার সময় মনে হয় দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে একখণ্ড আলোর পিন্ড। ইজিবাইক চালিয়ে আবুল কালাম আজাদ দৈনিক আয় করে দশ হাজার টাকার কাছাকাছি।ইজিবাইকটিতে চড়েছেন অনেক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবেদকের সাথে যখন ইজিবাইক চালকের কথা হচ্ছিল তখন ইজিবাইকে ছিলেন খুলনা থেকে বেড়াতে আসা সাংবাদিক নুরুল হাসান লিটু। তিনি জানান, ইজিবাইকটি খুবই মনোরম এবং চড়তেও আরামদায়ক।

ইজিবাইকটি সম্পর্কে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিদ্যাপীঠ বনফুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওলাদার ফারুক বলেন, ইজিবাইকটি গান ও সাইরেন বাজিয়ে যখন চলতে থাকে তখন খুবই মনোমুগ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

আবুল কালাম আজাদকে এত টাকা দিয়ে ইজিবাইক বানানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভাইসাব মানুষের ত বিভিন্ন শখ থাকে আমিও শখের বসে রাস্তায় চালিত ডিজিটাল স্প্রীডবোর্ড তৈরি করেছি।আমরাও চাই এমন অনেকেই শখের বসে ভিন্ন জিনিসের জিনিস তৈরি করুক।বেচে থাক আবুল কালাম আজাদদের শখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *