May 1, 2024
জাতীয়

সাবরিনা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার, শুনানিতে আইনজীবী

জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন আরিফ চৌধুরী মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।

দ্বিতীয় দফায় ডিবির করা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে সাবরিনার আইনজীবীরা এ দাবি বলেন।

তিনদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সাবরিনাকে ফের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) লিয়াকত আলী।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, আসামি একজন ডাক্তার। তার কাজ ছিল মানুষের সেবা করা। তিনি সেটি না করে মানুষের জীবন বিপন্ন করেছেন। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। সাহেদের অপরাধ ও তাদের অপরাধ একই ধরনের। ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান, তাই ওই প্রতিষ্ঠানের অপকর্মের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এসব অপরাধের তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হোক।

এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আব্দুস সালামসহ কয়েকজন আইনজীবী। তারা বলেন, আসামি ডা. সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান নন। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হতে হলে কোম্পানি আইন অনুযায়ী অবশ্যই একটা মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনস ও আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যানের বর্ণনা থাকবে। এ ধরনের প্রমাণ নিবন্ধক অফিসে থাকার কথা। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ তেমন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

তারা আরও বলেন, এই মামলায় এজাহার একটা ঘটনার বর্ণনার মতো। এখানে অপরাধমূলক কোনো ঘটনার বর্ণনা নাই। মামলার এফআইআরে সাবরিনার নাম ছিল না। মামলা হওয়ার ২১ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এর মধ্যে পলাতক হননি। এমনকি পুলিশের তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য তাদের ডাকে যান, সেখানেই তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। যেহেতু এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি শুরু থেকেই তদন্তে সহায়তা করেছেন ও পলাতক হননি। ইতোমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তাই নতুন করে রিমান্ডের কোনো প্রয়োজন নেই।

সাবরিনার আইনজীবীরা বলেন, এই আসামি পলাতক হননি এবং তিনি জেকেজির চেয়ারম্যানও নন। এরপরও তার বিরুদ্ধে যা হচ্ছে, এতে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। মিডিয়া ট্রায়াল জিনিসটা খুবই বিপজ্জনক। তাই আমরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক আসামির জামিন চাইছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে সাবরিনার ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *