May 18, 2024
জাতীয়

সাদ পেলেন লাঙ্গল, রিটা ধানের শীষ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

এরশাদের শূন্য আসনে পুনঃনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

এরশাদপুত্র সাদ এরশাদ লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান। এ ছাড়া এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন মোটরগাড়ি (কার) মার্কা।

প্রতীক পেয়েই অন্যান্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করলেও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। ফলে প্রার্থীদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আমার এখনো সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া যায়। বিভিন্ন দেশে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরও আমি আশা করছি, যেহেতু এ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না, সে কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ’

মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রতীক বরাদ্দের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সঙ্গে নেই কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দলেই গ্র“পিং রয়েছে, আমাদেরও আছে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’

এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহারিয়ার মোটরগাড়ি প্রতীক পাওয়ার পর বলেন, ‘আমার প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন আছে। ফলে আমার প্রতীক লাঙ্গল না হলেও মোটরগাড়িতে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। ’

সাদ প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘সাদ বহিরাগত প্রার্থী। তিনি কখনো রংপুরে আসেননি। রংপুরের মানুষ তাকে চেনেন না। তাই আশা করছি রংপুরের মানুষ তাকে প্রত্যাখান করে স্থানীয় প্রার্থী এবং এরশাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাকে ভোট দেবে।’

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের সময় সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না। দলের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক প্রতীক গ্রহণ করেন। সে সময় জাপার অন্য কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।

এ প্রসঙ্গে জেলা জাপার দপ্তর সম্পাদক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রার্থীর উপস্থিতির বাধ্য বাধকতা নেই। তাই সাদ এরশাদ যাননি। তবে দলের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে রয়েছে।’

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে গণফ্রন্টের প্রার্থী কাজী মো. শহিদুল­হ দলীয় প্রতীক মাছ, খেলাফত মজলিস প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল দলীয় প্রতীক দেয়াল ঘড়ি এবং এনএনপি প্রার্থী শফিউল আলম দলীয় আম প্রতীক গ্রহণ করেন।

প্রতীক বরাদ্দের সময় সব প্রার্থী নিজেই উপস্থিত থেকে দলীয় প্রতীক গ্রহণ করলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ নিজে উপস্থিত হননি। ফলে দলের নেতাকর্মী ভোটারদের সাংগঠিক দুর্বলতা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সাদের পক্ষে মাঠে নামবে কি না এনিয়ে দ্বিধা-দ্ব›েদ্ব রয়েছে। এই দ্বিধা-দ্ব›দ্ব দূর করতে না পারলে জয় হাত ছড়া হয়ে যেতে পারে জাপার।

রিটার্নিং অফিসার জিএম শাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার আহŸান জানান। আগামী ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *