May 19, 2024
জাতীয়

সাংবাদিক জুনাইদ হত্যা মামলায় হবিগঞ্জে ৩ জনের যাবজ্জীবন

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

হবিগঞ্জে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন বলে হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আল আমিন হোসেন জানান।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা নবীগঞ্জ উপজেলার সাতহাইল গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, মিছির আলীর ছেলে রাহুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফরিদ মিয়া। নিহত জুনাইদ একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

আসামিদের যাবজ্জীবন সাজার সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে রায়ে আরও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা কথা উলে­খ করে কোর্ট ইন্সপেক্টর আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় বাদশা ও রাহুল আদালতে উপস্থিত ছিল। এছাড়াও অপর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি ফরিদ মিয়া লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। দুই আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে বিকেলে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

রায়ের পর অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বলেন, সাংবাদিক জুনাইদ হত্যা মামলায় রায়ে আমরা (আইনজীবী) ও তার পরিবার সন্তোষ্ট। তবে এ সাজা যেন বহাল থাকে তার জন্য দাবী জানিয়েছে জুনাইদের পরিবার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ জুলাই সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ বাড়ি থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জ সদরে যান। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশের আলামত নষ্ট করার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইনে ফেলে রাখে। পরদিন ১১ জুলাই সকালে প্রায় ২০ টুকরা অবস্থায় সাংবাদিক জুনাইদের লাশ রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে।

পরে এ ঘটনায় জুনাইদের ভাই মোজাহিদ আহমদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জের আদালতে মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়েই প্রধান আসামি ফরিদ লন্ডনে পালিয়ে যান। অপর আসামিরাও আত্মগোপন করেন বলে জানান পিপি এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক।

তিনি আরও জানান, মামলার অপর আসামি মাদক সম্রাট আব্দুল হামিদকে ওই বছরই স্থানীয়রা আটক করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। বছর খানেক কারাবাসের পর জামিনে বাইরে আসেন তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজনের ‘পিটুনিতে’ দিয়ে আব্দুল হামিদকে মেরে ফেলে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *