May 17, 2024
জাতীয়

লক্ষ্য পূরণে সরকার অবিচল: পরিকল্পনামন্ত্রী

কিছুটা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও সরকার লক্ষ্য পূরণে অবিচল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

শুক্রবার (২৫ জুন) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কি বৈষম্যমূলক পুনরুদ্ধারের পথে?’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এই সরকার দেশের সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং এই গ্রামকেই অবহেলা করা হতো একসময়। এই গ্রামের মানুষদের উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার, যেটি আগে সম্ভব ছিল না।

বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণে অটল থেকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

ঘোষিত বাজেট কিছুটা পলিশ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাজেট প্রণয়নকে দেখেছেন রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত বাজার অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাজেটের বরাদ্দ হয়ে পড়েছে গোষ্ঠীতান্ত্রিক, যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাজারমূল্য ধারণাটির অধঃপতন হয়েছে, এই বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী।

বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক মডেল দাঁড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, যেখানে সম্পদ কেবল এক শতাংশ মানুষের হাতে পুঞ্জিভূত হবে এবং দেশে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান থাকবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বাজেটে তিনটি ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন- বাজেট প্রণয়ন, বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও বাজেট বাস্তবায়ন।

বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, বাজেট যেহেতু জনগণের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়, সেহেতু জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা সমীচীন। অথচ বাংলাদেশে বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয় পেশাজীবীদের সঙ্গে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে। ফলে বাজেট হয় পুরনো অর্থবছরের বাজেটের ধারাবাহিকতা মাত্র। বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে ‘টপ ডাউন অ্যাপ্রোচ। ’

তিনি আরও বলেন, বাজেট প্রস্তাবিত হওয়ার পরেও বাজেট নিয়ে মুক্ত আলোচনার সুযোগ থাকে না। এই দুই ধাপের দুর্বলতার ফলাফল হিসেবে বাজেট বাস্তবায়নেও জবাবদিহিতা ও স্বছতার অভাব থেকে যায়।

ড. ফাহমিদা খাতুন বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করলেও বলেন, সব ব্যবসায়ীদের জন্য এই বাজেট ব্যবসাবান্ধব নয়। এই বাজেট থেকে সাধারণ জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থ বাজেটকে সামনে রেখে আয়োজিত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ পারভেজ ইমদাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *