May 3, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলাহ’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

দ. প্রতিবেদক
একসময় খুলনার রূপালী ব্যাংকে কর্মরত কেবিএ সিরাজুদ্দৌলাহ টিটুর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের উপর ভিক্তি করে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা লোন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে আড়াই কোটি টাকা লোনসহ ছোটবড় কয়েকটি ব্যাংক লোনে অনিয়ম করেছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। এই ব্যাংক কর্মকর্তার বর্তমান কর্মস্থল ময়মনসিংহ হলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই খুলনা থাকেন।
সূত্র জানায়, কেবিএম সিরাজুদ্দৌলা খুলনার রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, শামসভবন কর্পোরেট শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় জমি জালিয়াতির মাধ্যমে খুলনার একটি ফিস ফিড কোম্পানীকে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ দেন। এই ঋণ দেয়ার জন্য যে জমির দলিল দাখিল করা হয়, তা পুলিশের সিআইডি তদন্তে সম্পূর্ণ ভূয়া প্রমাণিত হয়। এই কারণে জমির প্রকৃত মালিক মোঃ খবির উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনার চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর ১৮৭/১৮। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। উক্ত মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজদ্দৌলাহ দুই নম্বর আসামী। জালিয়াতির এই ঘটনার পর তাকে ২০১৭ সালে ময়মনসিংহ বদলী করা হয়। কিন্তু সেখানে তিনি খুব বেশী উপস্থিত না থেকেই খুলনায় অবস্থান করতে থাকেন।
ছুটি না নিয়ে কেন প্রশ্নের জবাবে সিরাজদ্দৌলাহ জানান, তিনি ঢাকা সদর দপ্তরে ব্যাংকের ষ্টেশনারী নিতে আসেন কিন্তু খুলনায় গত ৮ আগস্ট তাকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করে বলে ময়মনসিংহে যেতে পারেনি। কেন বিনা ছুটিতে খুলনায় অবস্থান করছেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাল কাগজপত্রে প্রগতি ফিস ফিডে যে লোন দেয়া হয়েছে সেজন্য আমি লোন অফিসার হিসাবে একক দায়ি না, ব্যাংক ম্যানেজার এবং ব্যাংকের লিগ্যাল এডভাইজার দায় এড়াতে পারেন না।
রূপালী ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, তিনি মাসে ৪৫ হাজার টাকা বেতন পান, সামান্য টাকায় ময়মনসিংহ এবং খুলনা এই দু’জায়গায় ঘর ভাড়া দেয়া এবং সংসার পরিচালনা কিভাবে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজদ্দৌলাহ জানান, তার ভাই ব্রাদার তাকে সাহায্য করেন তবে তিনি আলাদা কোন ব্যবসা করেন না। উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বিভিন্ন ঘটনায় জড়িয়ে পড়া এবং মারামারির ঘটনায় রূপালী ব্যাংকপাড়া কর্মরতরা খুবই বিব্রত।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *