May 19, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

রূপসায় ১৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি এসএসসি পরীক্ষার্থী মৌমি আক্তারের

 

দ. প্রতিবেদক

১৭ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি রূপসা উপজেলার নিখোঁজ ছাত্রী মৌমি আক্তারের। গত ২১ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। কি কারণে তাকে তুলে নেওয়া হলো সে বিষয়ও পরিবারের সদস্যরা জানেনা। অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মৌমির পরিবার। বোনকে ফিরে পাওয়ার জন্য বড় ভাই আবুল কশেম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে মৌমি আক্তার সারা পরীক্ষার জন্য বেলফুলিয়া স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে যুগিহাটি এলাকার বখাটে ফুয়াদ হোসেন ও ওহিদুল তার ছোট বোন সারাকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় ছোট বোন সারা চিৎকার করলে প্রতিবেশী মঞ্জিলা বেগম এগিয়ে আসেন। আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ফুয়াদের সহযোগীরা মঞ্জিলা বেগমকে মারপিট করে। এসময় তারা প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। তাৎক্ষণিক অপহৃতার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ভুলুর কাছে বিষয়টি জানান।

পরিবারের সদস্যরা আইচগাতী পুলিশ ক্যাম্পের আইসির শরণাপন্ন হন। ক্যাম্পের কর্মকর্তা ফুয়াদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি বলেন। সেখান থেকে সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে রুপসা থানায় হাজির হয়। তখন থানা থেকে বলা হয়, চার দিনের মধ্যে নিখোঁজ মৌমিকে খুঁজে বের করা হবে। আমরা এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।

নির্বাচনের পর ফুয়াদসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলার ৯নং আসামি মোস্তাককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেলেও ৬ ডিসেম্বর সে জামিনে মুক্তি পায়। মামলা দায়ের করার পর পরিবার রয়েছে হুমকি ধামকির মধ্যে, প্রতিটি দিন আতঙ্কে মধ্যে পার করছেন তারা।

আবুল কশেম সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হতাশায় ভেঙে পড়ে বলেন, ১৭ দিন ধরে ছোট বোনের কোন খোঁজ খবর নেই। বেঁচে আছে কিনা তাও জানে না তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেমের বাবা আব্দুল কাদের গোলদার, তার ভাই ৬নং ওয়র্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম ভুলু ও কাজী লিয়াকত হোসেন।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *