May 4, 2024
বিনোদন জগৎ

রাজের বাসা ছেড়েছি, বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব: পরীমণি

‘কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না।

তার (শরীফুল রাজ) আচার-আচরণ এমন যে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। তবে এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। ’

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের পর শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এমনটি জানালেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি।

বিয়ের এক বছর না ঘুরতেই শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া পরীমণির এক স্ট্যাটাসে বিচ্ছেদের আভাস পাওয়া যায়। তবে স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে পরীর বিচ্ছেদের ব্যাপারটি স্পষ্ট ছিল না।

জানা গেছে, স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে সন্তান রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে রাজের বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন পরীমণি। এর পরেই স্ট্যাটাসটি দেন এ চিত্রতারকা।

পরী লেখেন, হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।

তবে স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি স্পষ্ট করেননি পরী। শনিবার পরী বলেন, এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নেই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে ২০২১ সালে দু’জনের পরিচয় ও প্রেম; তারপর হুট করেই বিয়ে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর এ সম্পর্কের খবর। তারপর গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে আবারও তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর গেল ১০ আগস্ট তাদের সংসারে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান রাজ্য।

বিয়ে ও সন্তান জন্মের পর বেশ ভালোই যাচ্ছিল তাদের নতুন জীবন। রাজ-পরীর দুষ্টু, মিষ্টি কিংবা আবেগমাখা কর্মকাণ্ড বরাবরই ভক্তদের নজর কেড়েছে। অন্তর্জালে তাদের নানান মুহূর্তের ছবি বেশ প্রশংসা কুড়ায়। তবে বছর না ঘুরতেই, বছরের শেষ দিন পরী দিলেন সম্পর্ক ছিন্নের খবর।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *