May 2, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

মোড়েলগঞ্জে উপকার ভোগীদের নামের পাশে ইউপি সদস্যদের কাছের লোকের মোবাইল নম্বর

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে (কুমারিয়াজোলা) এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডে ৯২ জনের মধ্যে প্রায় দশজন উপকার ভোগীর নামের সামনে ওই ইউপি সদস্য মোঃ কামরুল মুন্সি‘র নিজস্ব লোকের নাম্বার দিয়েছেন।
ওইসব ব্যক্তির নিজেদের মুঠোফোন নাম্বার থাকা স্বত্তেও ইউপি সদস্য অসৎ উদ্দেশ্যে তার নিজস্ব লোকের নাম্বার দিয়েছে। ওই তালিকায় একই নাম্বার একাধিক মানুষের নামের পাশে দিয়েছেন। এছাড়াও সরকারি সহযোগিতা প্রদানে স্বজন প্রীতি এবং বিভিন্ন ভাতা ভোগীদের কার্ড দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য কামরুল মুন্সির বিরুদ্ধে। যদিও তিনি বিএনপির আমলে যুবদলের নেতা ছিলেন। উইনিয়ন চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট হওয়ায় নানা অপকর্ম করেও বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন।
ওই ওয়ার্ডের তালিকায় দেখা যায়, মোঃ সরোয়ার মুন্সি, দুলু বেগম, মোঃ রুস্তুম মুন্সি, ফুলজান বেগম, তহমিনা বেগমসহ কয়েক জনের নামের সামনে ইউপি সদস্য মোঃ কামরুল মুন্সির কাছের মানুষদের নাম্বার দেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য কামরুল মুন্সির কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত হাফিজুরের দুটি নাম্বার (০১৩১৬-০১১০১৫, ০১৮৬৬৮৭৬৩০৪) রয়েছে দুই জনের নামের সামনে।
নামের পাশে নিজেদের নাম্বারের জায়গায় অন্য লোকের নাম্বার থাকার খবরে ভুক্তভোগীরা ইউপি সদস্যকে ফোন করলে সামনা সামনি কথা বলার কথা বলে ফোন কেটে দেন ইউপি সদস্য।
উপকার ভোগী সরোয়ার মুন্সির ছেলে আসলাম মুন্সি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২৫০০ টাকার সহযোগিতার জন্য ইউপি সদস্য আমার পিতার নাম দিয়েছে। কিন্তু ওই তালিকায় আমার বাবার নামের পাশে অন্য লোকের নাম্বার। আমি বিষয়টি মেম্বরকে জানালে তিনি সামনা সামনি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
এছাড়াও আমার ফাতেমা বেগম এবং ভাতিজা আরিফ মুন্সিকে প্রতিবন্ধি ভাতা দেওয়ার জন্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন আমার বাবার কাছ থেকে। এছাড়াও অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন পঞ্চকরণ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য কামরুল মুন্সি।
এসব অনিয়মের বিষয়ে কামরুল মুন্সি বলেন, উপজেলা প্রশাসণের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে তালিকা চেয়েছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। কিন্তু যখন তালিকা করা হয়েছে তখন জানতাম না যে টাকা দেওয়া হবে। তাই যাদের নাম্বার আমার কাছে ছিল না, তাদের নামের সামনে আশপাশে যারা ছিল তাদের নাম্বার দিয়েছি। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে তালিকায় যার নাম তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে তালিকা সংশোধনের জন্য পাঠিয়েছেন। আমরা সেই অনুযায়ী তালিকা দিয়েছি।
রোববার (১৭ মে) বিকেলে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, ইউপি সদস্য কামরুল মুন্সি ও দেলোয়ার খলিফার ওয়ার্ডের তালিকায় কিছু সমস্যা ছিল। সেগুলো আমরা সংশোধন করে দিয়েছি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *