মোংলায় নিখোঁজ পাঁচ নাবিকের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলা বন্দর চ্যানেলে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পরে দুই নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এখনও তিন নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল। মরদেহগুলো মোংলা থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মোংলা থানায় পৌঁছানোর পরে জীবিত উদ্ধার হওয়া নাবিকদের মাধ্যমে মৃত নাবিকদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করা হবে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় বন্দরের হারবাড়িয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় পানামা পতাকাবাহী জাহাজ হ্যান্ডিপার্কের ধাক্কায় ডুবে যায় কয়লা বোঝাই কার্গো এম ভি ফারদিন-১। এতে ওই জাহাজে থাকা সাত নাবিকের মধ্যে পাঁচ নাবিক নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ নাবিকরা হলেন- পিরোজপুর জেলার সৌরভকাঠি উপজেলার বোটমাস্টার মহিউদ্দিন, একই এলাকার রবিউল, নূর আলম, ভাÐারিয়া উপজেলার জিহাদ, এবং মোংলা এলাকার সামসু। সোমবার রাতে উদ্ধার হওয়া জীবিত নাবিকরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ভাÐারিয়া উপজেলার পাইটখালী গ্রামের রায়হান চৌধুরী, বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মাকরডোন নারিকেল তলা এলাকার মো. রুবল। উদ্ধার হওয়া নাবিক রায়হান চৌধুরী বলেন, আমরা কয়লা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে মাদার ভ্যাসেল আমাদের কার্গোটিকে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের কার্গোটি ডুবে যায়।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলার গোয়েন্দা কর্মকর্তা লে. লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, খরব পেয়ে রাতেই কোস্টগার্ডের সদস্যরা ওই এলাকায় পৌঁছায়। নিখোঁজ পাঁচ নাবিকের মধ্যে আমরা দুই নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও তিন নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ শিপিং আইন অনুযায়ী ডুবে যাওয়া বলগেটটির বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের অনুমতি ছিল না। তারা বেআইনিভাবে কয়লা পরিবহন করেছে। এসব বিষয়ে বলগেট মালিকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন বন্দরের এই কর্মকর্তা। গত ৮ অক্টোবর সার নিয়ে বন্দরের পশুর নদীতে ও ৯ অক্টোবর পাথর নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় দুইটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।