May 2, 2024
বাণিজ্যলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছে

মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় মে মাসে লেনদেন কম হয়েছে। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ লেনদেন কমেছে। মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। মে মাসে তা কমে হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এ প্ল্যাটফরমে লেনদেনের সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যাও।

২০২৩ সালের মে মাস শেষে এমএফএসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার। এপ্রিলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২০ কোটি ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২১০ জন। এদিকে ‘নগদ’-এর মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় রয়েছে সাড়ে ৬ কোটির বেশি গ্রাহক। এ হিসাব যোগ করলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ২৬ কোটি ছাড়াবে। এর কারণ অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিমে হিসাব খুলছেন গ্রাহকরা।

গ্রাহক এখন ঘরে বসেই ডিজিটাল গ্রাহক-সম্পর্কিত তথ্যের (কেওয়াইসি) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে ঝামেলামুক্ত হয়ে হিসাব খুলতে পারছেন তারা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বেশিরভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান।

বর্তমানে শুধু লেনদেন নয়, অনেক নতুন নতুন সেবাও যুক্ত হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুত্, গ্যাস, পানির বিল অর্থাত সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাত্ রেমিট্যান্স পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া পোশাক খাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। ফলে দিন দিন নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে। এ প্রবণতা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

শেয়ার করুন: