May 18, 2024
আঞ্চলিক

মুকসুদপুরে মৌমাছি চাষের ১৬টি বাক্স ভেঙ্গে ২ লাখ টাকার ক্ষতি!

 

 

মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মৌমাছির সাথে শত্রæতা করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করা মৌমাছির ১৬টি বাক্স ভেঙ্গে ২ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে দেখা যায় মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাশুর গ্রামে বেজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি চাষ করেন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া গ্রামের কৃষক মজনু কাজী।

মৌ চাষী জানান, ২ আগষ্ট শুক্রবার তিনি তার মৌ খামারে জান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার মৌ খামারের ৪০টি মৌ বাক্সের মধ্যে ১৬টি মৌ বাক্স ভাঙ্গাচুড়া। এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। বাক্সের ভেতরে থাকা সকল মাছি উড়ে গেছে। এতে তার প্রায় ২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি যানান যার বাড়ির আঙ্গিনায় মৌমাছি চাষ করা হয় তার অনুমিত নিয়েই চাষ করা হয়। বাড়ির মালিক থাকেন বিক্রমপুর। বাড়ি দেখা শোনা করেন খান্দারপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের অমল ভক্তর ছেলে অশোক ভক্ত। সে বাড়ির মালিকের কাছে না জানিয়ে বাড়ির আঙ্গিনার গাছ কাটার সময় মৌমাছির বাক্সের উপর ফেলে বাক্স গুলো ভেঙ্গে ফেলে এতে বাক্সের ভেতর থাকা সকল মাছি উড়েগেছে। এবিষয়ে তাকে বলা হলে সে বলে মানুষ মেরে ফেল্লে কিছু হয় না আর তো মৌ মাছির বাক্স ভাঙ্গা হয়েছে।

মৌ চাষী মজনু কাজী আরো জানায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌ চাষ করলে প্রতি বছর সরষে মৌশুসে ৪০টি বাক্স থেকে প্রতি ৭দিন পর পর ১৪০ কেজি করে মধু আহরণ করা হতো। যা প্রতি সিজনে চার বার করে আহরণ করা হতো। এক কেজি মধু প্রায় ৩০০-৪০০ টাকা করে বিক্রি হতো। আর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সিজন পর্যন্ত মৌমাছি বাঁচিয়ে রাখতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়। আর এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌ চাষ করলে সরষের ফলনও ভাগ বৃদ্ধি হয়। এছাড়া স্থানীয় বেকার যুবকরাও তার থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌ মাছি চাষে উদ্বুদ্ধ হয়। কিন্তু তার এই মৌ মাছি চাষের সাথে শত্রæতা করে মৌ বাক্স ভেঙ্গে ফেলায় তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন।

খান্দারপাড়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রুহুল কুদ্দুস আহমেদ জানান, আমি শুনেছি মজনু কাজীর মৌ বাক্স ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তার এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের জন্য মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও তাকে আর্থিক সহযোগিতা ও মৌ বাক্স বিতরণ করা হয়েছিল। তার এই মৌ বাক্স ভেঙ্গে ফেলায় সে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি আরো জানান একটি মৌ বাক্সে ১টা রানী মৌ মাছি থাকে সে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার কর্মীমাছিকে নিয়ন্ত্রন করে মৌ বাক্সে রাখে। ১৬টি বাক্সের প্রতিটি রানী মাছিকেই মেরে ফেলা হয়েছে বিধায় সকল মাছি উড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন মৌ মাছি একটা জাতীয় সম্পদ। এটা ভেঙ্গেফেলাটা উচিত হয়নি।

মৌ চাষী মজনু কাজী জানান, সরকার যদি তার পাশে না দাড়ায় তাহলে তার পক্ষে আর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে  মৌ মাছি চাষ করা হবে না। তিনি যে এসব করেছে তার শাস্থি দাবি করেছেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত তিনি দোষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে যানিয়েছেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *