May 8, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

মালিকানার দ্বন্দ্বে আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক মিন্টুকে হত্যা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কলেজের মালিকানা ও আয়ের লাভ্যাংশ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যা করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। সোমবার খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের পর ‘রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ’ প্রঙ্গণে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। একই দিন সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় ‘রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ’ এর আঙ্গিনার মাটি খুঁড়ে মিন্টুর (৩৬) দেহের পাঁচটি খণ্ড এবং রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবা থেকে মাথা উদ্ধার করে র‌্যাব।
গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকে নিখোঁজ হন মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় তার ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ সাধারণ ডায়েরি করার পর র‌্যাব তদ্ন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, ৭ জুলাই মিন্টুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন গ্রেপ্তার তিন জন। ১৩ জুলাই স্কুলটিতে কোচিং পরবর্তী সময়ে ১০৬ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানয়। মিন্টু বর্মণের সুনাম এবং তিনি খুব ভাল শিক্ষক হওয়ায় পেশাগত হিংসা ছিল। প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ নিয়েও তাদের মধ্যে মনমালিন্য ছিল বলে গ্রেপ্তাররা র‌্যাবকে জানিয়েছেন।
হত্যা ও লাশ গুমের বিষয়ে তারা জানান, মিন্টুকে প্রথমে পার্টনার মালিক বাদশা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে রবিউল ও বাদশা মিলে তাকে হত্যা করে স্কুলের ১০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে ছয় টুকরা করেন। এরপর মাথা রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেন। মাথা ছাড়া পাঁচটি টুকরা স্কুলের আঙ্গিনায় পুঁতে রাখেন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, রবিবার মধ্যরাতে রবিউলকে আব্দুল্লাহপুর থেকে, বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে আর মোতালেবকে আশকোনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রবিউলের দেওয়া তথ্যমতে স্কুলের আঙ্গিনা থেকে মিন্টুর শরীরের পাঁচটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মন জানান, তারা সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়ায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। দুই বছর আগে মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ‘সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ গড়ে তোলেন। এর অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন মিন্টু।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *