মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামী আলমগীর গ্রেফতার, তিনদিনের রিমান্ডে
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী এলাকায় ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আলমগীর শেখ (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যশোর কোতয়ালী থানাধীন খড়কি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোঃ আলমগীর শেখ স্থানীয় মশিয়ালী গ্রামের মোঃ মোকছেদ শেখের ছেলে।
কেএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এনামুল হক বলেন, যশোর কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আলমগীর শেখকে গ্রেফতারের পর বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আলমগীরকে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রাখা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত মামলাটির এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত ও আসামী গ্রেফতার অভিযান একত্রে চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর মশিয়ালী এলাকায় শেখ জাকারিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই গ্রামের মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান। অপরদিকে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখকে নিহত হয়। পরে নিহত মোঃ সাইফুল ইসলামের পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেছেন।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসী শেখ জাকারিয়ার বাড়ীর সংলগ্ন এলাকা থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও হত্যাকান্ডের মূল খলনায়ক শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে এখনো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ