April 20, 2024
জাতীয়

মদের বিষক্রিয়ায় ২ রাবি শিক্ষার্থী ও রুশ প্রকৌশলীর মৃত্যু

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

রাজশাহীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও এক রুশ প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে; যারা মদের বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরা হলেন-পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রাশিয়ান প্রকৌশলী বেলি দিমেত্রি (৪১) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম রাফিদ খান ও অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তুর্য রায়।

রাফিদ দৌলতপুর থানার কবির আলম খানের ছেলে এবং তুর্য ডেমরারর ছোট রাউতরা গ্রামের পুর্ণেন্দ্র রায়ের ছেলে। এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় আরও দুই রাশিয়ান নাগরিক মিশা (৪০) ও লেবাকে (৪৫) রাজশাহীর সিডিএমএ হাসপাতালে এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রুয়েটের ওই শিক্ষার্থীর বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপত্র ইফতে খায়ের আলম বলেন, ওই তিন রাশিয়ান নাগরিক শনিবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে মদ পান করেন। পরে গভীর রাতে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলি দিমেত্রিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, মুহতাসিম ‘ছালছাবিল’ মেসে ও তুর্য ‘সাইদ টাওয়ারের’ মেসে থাকতেন। আরেকজন অসুস্থ রুয়েট শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তারা তিন জনে এক জায়গায় বসে ‘মদ জাতীয়’ কিছু একটা পান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে মেসের অন্য সদস্যরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ইফতে খায়ের বলেন, রাশিয়ান নাগরিকের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা অ্যলকোহল সেবন করেছিলেন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারণ তারা দুই জনে আলাদা মেসে থাকতো। তারা একত্রে মাদক নিয়েছে নাকি এর সঙ্গে অন্য কোন বিষয় জড়িত আছে এটি তদন্তের বিষয়।

মদে কোনো বিষাক্ত পদার্থ ছিল কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, মদে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তবে ময়নাতদন্তের আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *