April 25, 2024
আন্তর্জাতিক

ভারত-চীন-রাশিয়া নোংরা দেশ!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে উল্লেখ করলেও সুযোগ পেলেই ভারতের বদনাম করতে ছাড়েন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভোটের আগে সর্বশেষ বিতর্কে অংশ নিয়ে তিনি ভারতকে নোংরা দেশ  ও এর বাতাস নোংরা বলে মন্তব্য করেছেন।

একইসঙ্গে তিনি চীন ও রাশিয়াকেও নেংরা বলেছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

ট্রাম্প বলেন, “চীনের দিকে তাকান, কী নোংরা! রাশিয়ার দিকে তাকান, ভারতের দিকে তাকান- নোংরা, বাতাস নোংরা। ”

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারত ও চীনের ব্যাপক সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারেও দূষণ পর্ব নিয়ে দেশ দুটির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার প্যারিস অ্যাকর্ড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা প্যারিস অ্যাকর্ড থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ আমাকে ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হতো। আর আমাদের সঙ্গে সেখানে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ”

ট্রাম্পের বলেন, “প্যারিস অ্যাকর্ডের জন্য আমি কোটি কোটি চাকরি, কোম্পানিকে পথে বসাতে পারি না। ”

ভারত ও চীনের কলকারখানাগুলো দূষণ ছড়ালেও সেগুলো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক তৎপরতা নেই। কিন্তু পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে আমেরিকাকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি দাবি করেন।

মূলত এই বার্তার মাধ্যমেই তিনি ফের একবার দূষণ প্রসঙ্গে নিজের প্রশাসনের ভূমিকা স্পষ্ট করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে বহুবার মিডিয়ার সামনে মোদির সঙ্গে তার সখ্যতার বার্তা দিলেও, ভারতকে নিয়ে বারবার বহু নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন নির্বাচনের চূড়ান্ত বিতর্কেও।

ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের সাফল্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক বসিয়ে আন্তর্জাতিক মুক্ত বাণিজ্যের পরিপন্থী আচরণেরও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।

চলতি মাসের গোড়ায় বাইডেনের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতে করোনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়েও। তিনি বলেছিলেন, করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ভারত বা চীন কেউই দেয় না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *