May 5, 2024
খেলাধুলা

বেতন কাটার বিষয়ে কোনো সুবিধা পাবে না মেসি : বার্সা প্রেসিডেন্ট

বিশাল ঋণের বোঝার ক্লাবের ওপর চাপিয়ে দিয়ে পদত্যাগ করেছেন বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউ ও তার বোর্ডের সকল সদস্য। এখন আর্থিক অসঙ্গতি দূর করতে অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ডের সামনে একটাই পথ, খরচ কমিয়ে আনা। আর এক্ষেত্রে বড় ধাক্কাটা আসবে খেলোয়াড়দের

করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগেও বেতন কাটার কথা বলেছিল বার্সেলোনো ক্লাব ম্যানেজম্যান্ট। তখন খেলোয়াড়রা ঠিক রাজি হয়নি এ সিদ্ধান্তে। তবে এখন ক্লাবের ওপর যখন ঋণের বোঝা, সঙ্গে আবার করোনাকালীন আয় কমে যাওয়ার সমস্যা- তখন বেতন কাটা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই বার্সা বোর্ডের সামনে।

আর এজন্য বেতন কাটার আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড। এই বোর্ডের প্রেসিডেন্ট চার্লস টুসকেটস স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, বেতন কাটার বিষয়ে কোনো খেলোয়াড়কেই বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে না। অধিনায়ক লিওনেল মেসিসহ সবার ক্ষেত্রে একই হারে বেতন কাটা হবে।

বর্তমানে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে বার্সেলোনাই খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে সবচেয়ে বেশি খরচ করে থাকে। সে কারণে এ বেতন খানিকটা কেটে রেখে ক্লাবের ওপর থাকা ঋণের পরিমাণ কমানোর চিন্তা করেছে টুসকেটসের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারি। এর জন্য শুধু ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ঠ।’

‘আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নিতে চাই। তবে এখন বেতন কিছুটা কমিয়ে এনে, যখন পারব তখন আবার তা দিয়ে দেয়ার কথাই ভাবা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিই সম্ভাব্য সেরা সমাধান মনে হচ্ছে আমাদের। এক্ষেত্রে আমরা মেসির জন্য সবার চেয়ে আলাদা, বিশেষ কিছু করতে পারব না। আমরা সবার জন্য একই কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। ব্যক্তি বিবেচনায় কিছু করা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সকল স্টাফ এবং বেতনভুক্ত কর্মচারিদের নিয়েই ইস্যুটা সমাধান করতে চাই। এমন কোনো সমাধানে পৌঁছতে চাই, যাতে সবাই সন্তুষ্ট থাকে। এখন যে পরিমাণ অর্থ আছে, আমরা জানি যে স্টেডিয়া খুলতে না পারলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো আয় কমে যাবে। এমনকি খুলতে পারলেও, এ মৌসুমে তা পুরোপুরি সম্ভব নয়।’

বেতন কাটার বিষয়ে এরই মধ্যে নিজের মত দিয়েছেন মেসি। যা কি না ক্লাবের ইতিবাচক বলেই জানিয়েছেন টুসকেটস, ‘আমি মেসির জন্য আলাদা কোনো কিছু বলতে চাই না। আগে সবার মধ্যে সমঝোতার কথাই চিন্তা করা হচ্ছে। আপাতত এটুকু বলতে পারি যে, এখনও পর্যন্ত মেসি ও তার প্রতিনিধি স্বদিচ্ছা প্রকাশ করেছে।’

‘এটা লুকোনোর কিছু নেই যে, ইউরোপের মধ্যে বার্সেলোনায়ই সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়া হয়। ক্লাবের বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ এ খাতেই খরচ হয়। তবে আমি বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে ভাবতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে র‍্যামন প্ল্যানস, রোনাল্ড কোম্যান ও অস্কার গ্রাউদের আমি অভিনন্দন জানিয়েছি যে, তারা তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *