May 10, 2024
আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভকারীদের সামনে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইলো মার্কিন পুলিশ

শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের ফায়েটভিল পুলিশ কর্মকর্তারা হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার (১ জুন) বিক্ষোভকারীরা ফায়েটভিলের ব্রঙ্কোস স্কয়ারে জড়ো হয়ে পদযাত্রা করে মুর্চিসন সড়কে যান। সেসময় হাজারও মানুষ স্লোগান দেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’ এবং ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন গুরুত্বপূর্ণ’। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে সেখানেই নতজানু হয়ে ক্ষমা চান প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা হাতও মেলান।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ফায়েটভিল পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমাদের বিভাগ সবার কথা শুনতে এবং সবার সঙ্গে সম্মান ও শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহার করতে অঙ্গীকার বদ্ধ।’

২৫ মে মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের এক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন। এসময় ফ্লয়েড বলেছেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে মারবেন না।’

ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০ ডলারের একটি জালনোট ব্যবহার করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে নেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাতকড়া পরাতে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি।

তবে পুলিশের সঙ্গে ফ্লয়েড কীভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন তা ভিডিওতে দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *