May 18, 2024
জাতীয়

বানরের খাবারের ব্যবস্থা করতে অর্থ চান শাজাহান খান

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মাদারীপুরের লোকালয়ে বসবাস করা প্রায় দুই হাজারের মতো বানরের খাবারের ব্যবস্থা করতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প চান সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এ জন্য তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীনের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের নোটিসের ওপর আলোচনায় শাজাহান খান এই দাবি জানান। মাদারিপুরে বানরের জন্য খাদ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে নোটিস দেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, মাদারীপুর পৌরসভার চরমুগুরিয়া বন্দর পাট ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। এখান থেকে হাজার হাজার মন পাট নিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো। জনশ্রæতি আছে ভারতের তুলারাম বসুরাজ শখের বসে দুটি বানর এনেছিলেন। বাড়তে বাড়তে এখন বানরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার। স্বাধীনতার পর তুলারাম গোডাউন আদমজী পাটকলের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হত। সেখানকার একজন কর্মকর্তা বানরগুলোকে খাবার দিতেন।

১৯৯১ সালে বিএনপি গোডাউন বিক্রি করে দেয়। বানরদের খাবার দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই বানরগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ করেছিল। বর্তমানে সরবরাহ না থাকায় বানর রাস্তায় মানুষের খাবার ছিনিয়ে নেয়, দোকান থেকে খাবার ছিনিয়ে নেয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করে খাবার ছিনিয়ে নেয়। এখানকার জনগণ বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বানরকুল রক্ষার জন্য তাদের খাদ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও প্রকল্প গ্রহণ জরুরি।

জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনযোগ আকর্ষণের আলোচনায় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারাহানা বলেন, টিআইবি, সুজন, বিদেশি গণমাধ্যম, বিদেশি পর্যবেক্ষক, বাম মোর্চা, ১৪ দলের শরিক এমনকি নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্যের পর অতি স¤প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদকের কিছু বক্তব্য কবরে শেষ পেরেক ঠোকার মত প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই।

সরকার যা চাইবে নির্বাচনে ঠিক তাই হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রহসনে পরিণত হওয়ার কারণে ভোটাররা এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ। সরকারি দলের জোটসঙ্গী রাশেদ খান মেননের ভাষায় আজান দিয়েও এখন ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনা যায় না। এর কারণও স্পষ্ট করেছেন, তিনি সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারেনি।

রুমিন বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেছেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি নির্বাচন সুষ্ঠূ হবে’। নির্বাচন সুষ্ঠু করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের একক। এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী  এবং সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক কী করে আশ্বস্ত করেন, তা আমার মাথায় আসে না।

তিনি আরো বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার দায়িত্ব যখন তিনি (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নিচ্ছেন, তার মানে কি এই নয়, এতদিন সরকারি দলের ক্যাডার ও প্রশাসনই সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র অন্তরায় ছিল? নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়। এটা তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

সরকারের এই উদারতার কারণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন এই বলে যে, সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে সরকারের মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়বে না। এর সরল অর্থ করলে দাঁড়ায় জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেলে যেহেতু আকাশ ভেঙে পড়ার বিষয় থাকে তাই যেনতেনভাবে নির্বাচনে জেতা যেতেই পারে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *