April 19, 2024
জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সত্য ভাষণ বিএনপির গাত্র দাহের কারণ : ওবায়দুল

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া সত্য ভাষণ বিএনপির গাত্র দাহের কারণ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সত্য ভাষণ বিএনপি’র গাত্রদাহের কারণ। প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন, সত্য বলার সৎ সাহস রয়েছে। ভুল ভ্রান্তি স্বীকার করার সৎ সাহস রয়েছে। যেখানেই অপরাধ হয়েছে, সেখানেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সবকিছু এই পরিসরে বলা সম্ভব নয়। উনি যে বিষয় গুলো বলা দরকার, যেমন দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন। দুর্নীতিবাজ যেই হোক যত শক্তিশালী হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে অঙ্গীকার নিয়ে জাতির কাছে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন সেটা অব্যাহত থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখরোচক প্রতিশ্রæতিতে বিশ্বাস করেন না, তার প্রধান লক্ষ্য তরুণদের কর্মসংস্থান এবং সেই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। আমরা আমাদের যা করণীয় তা করে যাবো, দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজেই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি, এটা ঠিক নয়।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে জড়িতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে মূল ঘটনার সঙ্গে যে জড়িত, সে গ্রেফতার হয়েছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ অনেকাংশেই শেষ হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান যে সময় দিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কাজ মোটামুটি শেষ হবে বলে জানিয়েছে। আমরা তাদের আরো সময় বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত টার্গেট দিয়েছি। তারা টার্গেট মিস করেছে, এমন রেকর্ড আমাদের জানা নেই।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *