May 5, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

পাপিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২০ জুলাই বিশেষ ব্যবস্থায় পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে কাশিমপুর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ),স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেনি তিনি।
এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসা ভাড়াবাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশানে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।
অন্যদিকে র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।
এভাবে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনরূপ দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক, জাল টাকার ব্যবসা, বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেল ওয়েস্টিনে চারটি কক্ষ চার মাস ৯ দিন ভাড়া, খাবার, আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট বিল হিসাবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকেন তিনি।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকিরা হলো, পাপিয়ার স্বামী, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *