May 20, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

পাইকগাছায় গ্রামীণ জনপদের গাভী পালনকরা পরিবারগুলো বিপাকে

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের তান্ডবের শিকার বিশ্বের বিভিন্ন পেশার মানুষ। নাজুক অবস্থা প্রায় প্রত্যেকটি সেক্টরের। মন্দা অবস্থা বিরাজমান বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাদ পড়েনি বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন পেশার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির বিভিন্ন কাজের মাধ্যমগুলো। জেলার পাইকগাছা উপজেলার গ্রামীণ জনপদের গাভী পালনকরা পরিবারগুলো এই দুঃসময়ে খুব বিপাকেই আছে। গাভীর দুধ বিক্রয় একেবারে বন্ধ থাকায় এসব পরিবারের আয়ের উৎস পুরোপুরি বন্ধ। ফলে পরিবার গুলো বেশ অনিশ্চিত জীবন অতিবাহিত করছে।
পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাজীমুছা গ্রামের কুমারেশ চৌধুরী জানান, তার দুটো গরুর প্রতিদিন ২৪ কেজি দুধ হয়। প্রতি কেজি ৩২ টাকা হরে দাম দাড়ায় ৭৬৮ টাকা। কিন্তু দুধ বিক্রয় বন্ধ হওয়ায় তাদের সংসার চালাতে এবং গরুর খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
১নং হরিঢালী ইউনিয়নের রামনাথপুরের অরবিন্দু দাশের গরু রয়েছে তিনটি। তিনিও জানালেন অসহায়ত্বের কথা। বললেন দুধ বিক্রয় বন্ধ থাকায় নিজেদের ত বটেই গরুর খাবারও জোগাড় করা তার জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি বলেন সরকার যদি আমাদের মত ভুক্তভোগীদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন তাহলে আমরা আপদকালীন এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি। একই কথা জানান আয়েশা বানু, যার একটি দুগ্ধবতী গরু আছে । যিনি প্রতিদিন গরুর ৫ কেজি দুধ বিক্রয় করে তার সংসারের খরচের বড় একটি অংশ জোগান দেন।
এলাকার পল্লী দুগ্ধ উন্নয়ন সমিতির সদস্য সন্তোষ চৌধুরী বলেন, গ্রামীণ জনপদের মানুষের বাড়িতে গাভী পালনকরা পরিবারগুলোর কেউ কেউ ফোন দিয়ে সাহায্যের জন্য বলছেন। তিনিও সরকারের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি জানালেন। তিনি বলেন, সরকার যদি তালিকা তৈরি করে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন তাহলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *