May 20, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

করোনা আতঙ্কে খুমেক ও হাসপাতালের তিন শতাধিক চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী

জয়নাল ফরাজী : খুলনায় এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। যার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজের তিনজন অধ্যাপক রয়েছেন। গত শনিবার একজন সহকারী অধ্যাপকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল রবিবার আরও দুইজন শনাক্ত হয়েছেন। ফলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কলেজজুড়ে। আতঙ্ক বিরাজ করছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যেও।
খুলনা মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, রবিবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন চিকিৎসকের নমুনাও ছিলো। এতে দুইজন চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে একজন গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরজন শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তারা দুইজনেই গত ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন এবং দু’জনেই কলেজের গেস্ট হাউজে থাকেন। এ নিয়ে খুলনা জেলায় ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনজনই চিকিৎসক। এখন পর্যন্ত খুলনায় সর্বমোট ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে যার মধ্যে ৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজের গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলোজি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক বেশিরভাগ সময় ঢাকাতে থাকতেন এবং নারায়ণগঞ্জে প্রাইভেট প্রাকটিস করতেন। সম্প্রতি অধ্যক্ষের জরুরী আদেশে তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি চরে খুলনা মেডিকেল কলেজ এ আসেন। খুমেক এর গেষ্ট হাউজে বাকি ১৪জন চিকিৎসকের সাথে তিনিও সেখানে বসবাস শুরু করেন। এরপর কোন ধরণের কোয়ারেন্টিন না মেনে কলেজে এসে অনেক শিক্ষকের সংর্স্পশে আসেন। এরপরই একই গেষ্ট হাউজের বাসিন্দা ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সর্দি ও কাশি অনুভব করলে পরীক্ষা করে শনিবার তার করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। গতকাল রবিবার তাদের সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষার পর তিনিসহ আরেক চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ আসে।
এদিকে তিনজন সহকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্কে আছেন খুমেক ও হাসপাতালের তিন শতাধিক চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারী। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস রুম ও শিক্ষক লাউঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গা ইতোমধ্যে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, তিনজন অধ্যাপক এর করোনা সংক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে অন্য সহকর্মীরা একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই কলেজে কিছুটা আতঙ্ক সবার মধ্যে বিরাজ করছে। আমি নিজে কিছুদিন বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আক্রান্ত চিকিৎসক আমার রুমে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন তার খাতায় সই করতে ও অন্যান্য কাজে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *