May 19, 2024
জাতীয়

পর্দা কেলেঙ্কারি: শর্তসাপেক্ষে দুই আসামির জামিন

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই আসামিকে জামিন দেন।

আসামি হলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। এ দুইজন বিচারিক আদালতকে আত্মসমর্পণের পর ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো.সাইফুল্লাহ মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বিলের টাকা উত্তোলন না করার শর্তে নিয়মতি কোর্ট খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। আর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা দাবি করতে পারবে না।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মণ্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন। (মামলা নম্বর-৪।)

মামলায় আসামি করা হয়েছে সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলনব্যতীত বেশি দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারায় দণ্ডবিধির তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *