পদ্মাসেতুর ২ কিলোমিটারেরও বেশী এখন দৃশ্যমান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ওপর আরো একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গতকাল বুধবার এ সেতুর ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৩ হাজার ১ শ’ ৪০ টন ওজনের ‘৫-এফ’ স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো হয়।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনটি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলার থেকে ‘৫-এফ’ দ্বাদশ নম্বর স্প্যানটি সরিয়ে ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে।
এর আগে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাজের সুবিধার্থে চলতি বছরের ৬ মে মাঝ পদ্মা সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে ‘৫-এফ’ স্প্যানটি বসানো হয়েছিল। স্প্যানটি ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারের হলেও তখন ওই দুই পিলারের কাজ চলছিল।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, আবহাওয়া এবং ভাসমান ক্রেনটির নোঙরসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে এ স্প্যানটি ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। দুই পিলারের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে এনে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশন নির্ধারণ করে ইঞ্চি-ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। ২০ ও ২১ নম্বর পিলার থেকে ক্রেনে স্প্যান উঠিয়ে আবার ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারে বসাতে সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। উলেখ্য, পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৪টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে পম্মা সেতুর ২১০০ মিটার অর্থাৎ ২ দশমিক ১ কিলোমিটার। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে আরো ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।