May 3, 2024
জাতীয়

নারী পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : বিজিবি মহাপরিচালক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারে কারও কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’র ১৯তম শাখা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব নয়।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারাপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়া মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। গতকাল রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে। এখন বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না।

বিজিবি সীমান্ত এলাকায় কাজ করার কারণে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিজিবিতে বর্তমানে কতজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির ৬৫ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত সীমান্তে কাজ করছেন। বিজিবির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলেন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের হার শতকরা একভাগে পৌঁছেছে। এতদিন আক্রান্তের হার ছিল শতকরা মাত্র দশমিক ৭০ ভাগ।

সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিংসেবা সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজশর্তে লোন পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, RTGS, BFTN এবং রেমিট্যান্স সেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক সেবা চালু করেছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *