May 18, 2024
আঞ্চলিক

নগরীতে স্বামীর পরকীয়া নির্যাতন ও যৌতুকে নিঃস্ব গৃহবধু রশনী সরকার

দ: প্রতিবেদক

খুলনার সোনাডাঙ্গার গৃহবধূ রশনী সরকারের কাছ থেকে তার স্বামী বরুণ বিশ^াস দফায় দফায় বিভিন্ন অজুহাতে ২৫ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক আদায় করে। শুধু যৌতুকই নয় একই সাথে চলে শারিরিক নির্যাতন ও মেয়েদের নিয়ে ফ’র্তি।

জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ মে মোরেলগঞ্জের তেলিগাতি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বরুন বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি চাকুরি ছেড়ে পালিয়ে আসে বাগেরহাটে। এখানে এসে বিনা বেতনে যদুনাথ ইন্সটিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন। রশ্নি সরকারের পেটে অপারেশনের অযুহাত দেখিয়ে শশুর সুনীল সরকারের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন এবং দেড় শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে আসেন। এ সময় বিয়ের খরচ বাবদ শ্বশুর  সুনীল সরকার বরুন বিশ^াসকে ১ লক্ষ টাকা দেয়।  বিয়ের পরে বৌভাতের জন্য দুই লক্ষ টাকা নিলেও বৌ ভাতের আয়োজন করেন নি তিনি। এরপরে বরুন বিশ^াসের বাবার বন্দক দেয়া জমি ছাড়ানোর জন্য কয়েক ধাপে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।

রশনী সরকার জানায়, ২০০৯ সালে বিএড শেষ করে খুলনা থেকে বাগেরহাটে এসে রশনী সরকারের মামা ডাঃ তপন রায়ের শালী মিঠুন রায়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে রশ্নি সরকার মামা ডাঃ তপন রায়ের সহযোগিতা চাইলে তিনি উল্টো তাকে পাত্তা না দিয়ে শালি ও বরুন দাসকে সহযোগিতা করেন পরকীয়ায়। এরপর থেকেই নির্যাতনের হার বাড়তে থাকে রশনী সরকারের উপর। এ সময়ে তার অলংকার সমূহ বন্ধক রেখে তা আর ফেরত আনেনি দোকানদারের কাছ থেকে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রশনী সরকার দিশেহারা হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর নাঃশিঃ ২০০/১৪।

পরবর্তীতে সংসারের আশায় ইচ্ছের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বাধ্য হয় তিনি। ফের ২০১৭ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। একটি নারী শিশু ও অপরটি যৌতুক। যার নম্বর যথাক্রমে সোনাডাঙ্গা সি আর ১৫৮/১৭ এবং নারী শিশু ৮০/১৮। যৌতুক মামলাটি খারিজ হয়ে গেলেও নারী শিশু মামলাটি চলমান রয়েছে।

নারী শিশু মামলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালতে করলে, বিজ্ঞ আদালত হতে থানায় এজাহার হিসাবে গ্রহণের আদেশ হয়। আদালতের আদেশে খুলনা থানায় মামলা নং ১৮, তারিখ ৭/৫/১৭ তাং রেকর্ড হয়, ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশীট দাখিল করে, যার বর্তমান মামলা নং নাঃশিশু ৮০/১৮। যেটি তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী জানান।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *