May 5, 2024
আন্তর্জাতিক

দিল্লি সহিংসতা: ১৩ হাজার ফোন পেয়েও চুপ ছিল পুলিশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪২ জন। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দুই শতাধিক মানুষ। সহিংসতার মধ্যেই দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি পুলিশই মসজিতে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পুলিশের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ আরও গাঢ় হলো। ভারতের একটি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সহিংসতার চারদিনে পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য ১৩ হাজার ২০০ কল আসে। কোথাও গুলি চলছে, কোথাও বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, কোথাও দোকান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসছিল। কিন্তু কোনো কলেই সাড়া দেয়নি পুলিশ, নেয়নি কোনো ব্যবস্থা।

দিল্লির যেসব স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেখানেকার বাসিন্দারা বলেছেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে পেরেছে। পুলিশ প্রতিরোধ করলে এ ধরনের ঘটনাই ঘটত না। তাদের অভিযোগ, ফোনে বার বার অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কল লগ খতিয়ে দেখে ভারতের একটি গণমাধ্যম। তাতে দেখা গেছে, ২৩ তারিখ রোববার বিক্ষোভের প্রথম দিন সন্ধ্যা বেলা ৭০০ ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। ২৪ তারিখে গিয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার, ২৫ ফেব্রæয়ারি সাড়ে ৭ হাজার ফোন পায় পুলিশ। ওই দিন রাত থেকেই এলাকা পরিদর্শনে বার হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এরপর ২৬ ফেব্রæয়ারিতেও প্রায় দেড় হাজার ফোন পায় পুলিশ।

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিজেপি কাউন্সিলর প্রমোদ গুপ্ত অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাঁর ফোনই ধরেনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না।  দিল্লির ‘রাজধানী পাবলিক স্কুল’-এর মালিক ফয়জল ফারুখ অভিযোগ করেন, সোমবার স্কুলে হামলা চালায় তাÐবকারীরা। বারবার পুলিশকে ফোন দিয়ে শেষ পর্যন্ত আশ্বাস পেলেও স্কুল চত্বরে যায়নি পুলিশ।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে দিল্লির এই সহিংসতাকে ‘পরিকল্পিত ধর্মীয় দাঙ্গা’ হিসেবে উল্লেখ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের সমালোচনা করছেন বিভিন্ন দেশের মানুষ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *