ডুমুরিয়ার ঘের ব্যবসায়ী মাহবুব হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
দ. প্রতিবেদক
ডুমুরিয়ার মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী ও কেসিসি’র মাস্টাররোল কর্মচারী মাহবুব হত্যা মামলায় মিন্টু রহমান নামের এক আসামিকে মৃত্যুদÐ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার অপর একটি ধারায় (৩৮০) আসামিকে এক বছরের সশ্রম করাদÐ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের সশ্রম করাদÐ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তাসনীম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল। আসামি ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, মাহবুব তার পৈত্রিক জমিতে ঘেরের ব্যবসা করতেন। ঘেরে থাকা অবস্থায় প্রায় কর্মচারীদের সাথে মাদক সেবন করতেন তিনি। মাদক ক্রয়ের টাকা ফেরত চাওয়া ও একাই মাদক সেবন করার ঘটনা নিয়ে গত ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাত ১২ টার দিকে মাহবুব ও কর্মচারী মিন্টুর মধ্যে বাকবিতÐা হয়। একপর্যায়ে মাহবুব ওই কর্মচারীকে চড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন রাত ১ টার দিকে মিন্টু ঘেরের ভেতরে রাখা বটি দিয়ে ভিকটিমকে কুপিয়ে জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে আসামি ঘের থেকে পালিয়ে যায়।
খোঁজ না পেয়ে পরেরদিন মাহবুবের স্ত্রী ডুমুরিয়া উপজেলার চক আহসানখালীর ওই ঘেরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে এলাকাবাসি ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। লাশের সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে খুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনার দু’দিন পরে নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে নেমে ঘেরের কর্মচারী আলমগীর কবির খোকন ও জাহাঙ্গির কবিরকে আটক করে পুলিশ । পরে তাদের মাধ্যমে অপর কর্মচারী মিন্টুকে ঝিকরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মিন্টু হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মুখ খুলতে থাকে। আদালতের কাছেও ১৬৪ ধারায় খুনের বিষয়টি স্বীকারে করে জবানবন্দি প্রদান করে সে। ২০১৩ সালের ২২ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: তাজুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।