May 8, 2024
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পকে ‘যোদ্ধা’ আখ্যায়িত করে ভোট চাইলেন ইভাঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন যোদ্ধা। হোয়াইট হাউসে তাকে আরও চার বছর প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

বাবাকে এভাবেই ‘যোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইভাঙ্কা বলেন, দেশবাসীকে তিনি প্রতিশ্রুতির চেয়েও অনেক বেশি কিছু দিয়েছেন।

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক বিশাল জনসমাবেশে ইভাঙ্কা বলেন, বিগত কয়েক দশকে তার পূর্বসুরী এবং রাজনীতিবিদদের ভুল সংশোধন করে ৪ বছরে তার বাবা যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে নিয়ে গেছেন।

ইভাঙ্কা আরও বলেন, ‘আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে হোয়াইট হাউসের একজন যোদ্ধাকে ভীষণ প্রয়োজন। প্রতিটি দিন আমার বাবা আমাদের প্রত্যেকের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। তাই এখন আমাদের সময় এসেছে তার জন্য এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করার।’

উল্লেখ্য, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির জো বাইডেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে তিনি নারী, শিশু, তারুণ্য, চাকরি এবং বেকারত্বের মতো বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচনী সমাবেশে ইভাঙ্কা বলেন, ‘৩ নভেম্বর আপনাদের সহায়তা, কণ্ঠস্বর ও ভোটের মাধ্যমে আমরা আরেকটি ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে আনব এবং যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্বের যে কোনো সময়ের চাইতে শ্রেষ্ঠতর অবস্থানে নিয়ে যাব।’

সমাবেশে ইভাঙ্কাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘সুপারস্টার কন্যা’ হিসেবে জনতার সামনে পরিচয় করিয়ে দেন সিনেটর রবার্ট পোর্টম্যান। ট্রাম্প কন্যা আরও বলেন, ‘ধনীদের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য ট্রাম্প ওয়াশিংটনে আসেননি। তিনি একটি কারণেই এখানে এসেছেন, আর তা হলো যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় শ্রেষ্ঠ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।’

ওহাইওর গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দুই ভাই ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প এবং বোন টিফানিকে সঙ্গে নিয়ে মরিয়া হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ইভাঙ্কা। দুই ভাইয়ের মতো একই বিষয়ে কথা বললেও খুব দ্রুত শ্রোতাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে ইভাঙ্কার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *