April 28, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন আবরার ফাহাদের বাবা

 বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) আদালতে মামলার বাদী আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে তিনি এজাহার সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান তিনি। বরকতউল্লাহ বলেন, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে ছয় ঘণ্টা ধরে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি আদালতের কাছে এর ন্যাযবিচার চাই।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। জেরা এখনও চলছে।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা ছিল। তবে ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চান আবরার ফাহাদের বাবা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক ৫ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জশিটভূক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

ওইদিন পলাতক তিন আসামি মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদের পক্ষে আ. রহিম মোল্লা, বদিউর আলম ভুঁইয়া ও শাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন আদালত।

এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়৷ তারা হ‌লেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং এস এম মাহমুদ সেতু এবং মোর্শেদ অমত্য ইসলাম।

এ মামলায় আটজন আদাল‌তে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। পরে নির্যাতনের সময়ের ভিডিও ফুটেজ ও পুলিশি তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে আরও ৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের এ মামলায় আসামি করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *