May 4, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনায় সবুজ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী শ্যালকের স্বীকারোক্তি

দ. প্রতিবেদক
মিজানুর রহমান সবুজ হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মো: সাগর ওরফে জসিম হাওলাদার। রবিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক মো: আল আমিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা থেকে সাগরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৬। গ্রেপ্তার যুবক ভিকটিমের শ্যালক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবু হানিফ জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে নিহত সবুজের সাথে স্ত্রী রেশমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রেশমাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারে। স্বামীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরিবারকে ফোন দেয় নিহতের স্ত্রী। এর আগে স্ত্রীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয় সবুজ। তাই তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে সাগর।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মিমাংসার কথা বলে সবুজকে ফোন দেয় স্ত্রী। কিন্তু কাজে ব্যাস্ত থাকার কারণে ওই সময়ে বাড়ি ফিরতে পারেনি সে। এর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে ভিকটিমের শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক সাগরসহ আরও কয়েকজন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছামাত্র নিহতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। পরে এলাকাবাসি তাকে মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা হোসনে আরা বেগম পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরও চারজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪৩।
ওই দিন রাতে নিহতে স্ত্রী ও শাশুড়ি নাসিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শ্যালক সাগর ঘটনা ঘটিয়ে ওই দিন রাতে পালিয়ে যায়। সে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় মামার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ৬ এর একটি অভিযানিক দল তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রবিবার দুপুরে তাকে খুলনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বণর্না দেয় পুলিশের কাছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে সে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে আরও জানিয়েছেন আইও।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *