April 20, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনায় মিথ্যা মামলা ও প্রতারক ময়নার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

দ. প্রতিবেদক
খুলনার ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতের মাধ্যমে ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে নিরীহ যুবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়কারী, মামলাবাজ মৌসুমী পারভিন ময়না ওরফে মৌসুমী আক্তার ময়নার প্রতারণা ও ভূয়া মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ভরসাপুর গ্রামের ঝালবাড়িয়া গ্রামের জামির মোল্লা।
শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জামির মোল্লা বলেন, আমার ছেলে রাকিবের সাথে চলতি বছরের ৮ মার্চ পরিচয় হয় ফুলতলার মৌসুমী পারভিন ময়নার। পরিচয়ের পর থেকে ময়না আমার ছেলেকে ভাই ডাকে এবং জানায় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ এর সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক। রাজিবকে সে সরকারী চাকরী দিয়ে দেবে। এই বলে গত ৭/৮ মাসে সে আমাদের কাছ থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু চাকরী আর দেয়নি। চাকরীর দিতে না পারায় তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে রাকিবের নামে ভূয়া কাবিন নামা তৈরী করে। ২০১৬ সালে একটা কাবিননামা সৃষ্টি করে এবং ২০১৯ সালে আরও একটি কাবিননামা সৃষ্টি করে। যার একটি দেনমোহর উল্লেখ করে ২০ লাখ টাকা, অপরটিতে ৫ লাখ টাকা। এরপর শুরু হয় ময়নার নির্যাতন। একের পর এক মামলা দায়ের করতে থাকে আমার ছেলের নামে। সর্বশেষ আমার ছেলের নামে সে ভূয়া ধর্ষণ মামলাও দিয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। (ডিএনএ পরীক্ষা করলেই মৌসুমীর এই ধর্ষণ মামলা ভূয়া প্রমাণিত হবে)। পরবর্তীতে আমরা মৌসুমী পারভিন ময়নার চারটা স্বামীর খবর পেয়ে যাই। এছাড়া আরও অনেক ছেলে বন্ধু রয়েছে তার। যারা ভূয়া স্বামীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে ভাগাভাগি করে নেয়।
তার এক স্বামীর নাম বেল্লাল খন্দকার। যার ঘরে লাবিব হোসেন (তন্ময়) নামে একটি ছেলে রয়েছে। এছাড়া আলামিনের ঘরে ময়নার তিনটি সন্তান রয়েছে (দুই ছেলে আর এক মেয়ে)। মৌসুমী পারভিন ময়নার আর এক স্বামীর নাম নুরুল আলম বাবু। যার অনেক কাগজপত্রও আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। মৌসুমীর নিয়ন্ত্রনে আছে একাধিক ক্লিনিক। যেখান থেকে সে প্রয়োজনীয় ভূয়া কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার অবাধ যাতায়াত আছে বলেও ভয় দেখায় মৌসুমী। পুলিশও তার কেনা গোলাম বলেও ভয় দেখায় নিরীহ যুবকদের। ফলে অনেকেই তার প্রতারণায় সর্বশান্ত হয়েছে। এই মৌসুমীর অনৈতিক কাজ সহ্য করতে না পেরে তার গায়ে এসিড ঢেলে দেয় তার এক স্বামী। বর্তমানে মৌসুমী ও তার বাহিনীর লোকেরা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রাণী করে চলেছে। একাধিক সময়ে ফোন দিয়ে তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে বলছে, টাকা দিলেই রাকিবের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেয়া হবে। টাকা না দেয়ায় মৌসুমী আমার ছেলে রাকিব ও তার পূর্বের স্বামী নুরুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন, এই মৌসুমী পারভীন ময়না একজন দেহ ব্যবসায়ী। সে নিজে এই কাজে অন্যকেও সহায়তা করে। ২০১৪ সালের ২২ মার্চ রাতে মৌসুমীর ঘর থেকে অবৈধ কার্যাকলাপেরত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী এক যুবক ও এক যুবতীকে আটক করে। যারা ওই দুই যুবক-যুবতীকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে রেপ কেস দেয়ার হুমকি দেয় মৌসুমী। মৌসুমীর বাড়িতে নিয়মিত মদের আসর বসতো। এই ঘটনায় মৌসুমীর মা মমতাজ বেগম থানায় মেয়ে মৌসুমীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেন। মৌসুমীর এসব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় অনেকের বিরুদ্ধে সে হয়রাণিমূলক বিভিন্ন মামলা দিয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *