April 17, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনায় দুর্গাপূজায় একসাথে ১০ জনের বেশি মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না

কেএমপি’র মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ

দ. প্রতিবেদক
খুলনায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে একসাথে ১০ জনের বেশি মন্দিরে প্রবেশ করবে না এবং একজন হতে অন্যজনের দূরত্ব ৩ ফিট হতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মহানগরীতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহামান ভূঞা এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান, অতিঃ পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিএসবি) রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি), বি.এম নুরুজ্জামান (বিপিএম), ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ (পিপিএম), ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ, ডেপুটি উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এমএম শাকিলুজ্জামান-সহ কেএমপি’র সকল সহকরী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ এবং অফিসার ইনচার্জবৃন্দ।
আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-৬, খুলনা এর প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি, আনসার ও ভিডিপি এর প্রতিনিধি, এনএসআই এর প্রতিনিধি, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, কেসিসি এর প্রতিনিধি, খুলনা এর প্রতিনিধি, নৌ-অঞ্চল, খুলনা এর প্রতিনিধি, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু-সহ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো- কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভক্ত ও অতিথিদের পূজামণ্ডপে সরকারী নির্দেশনা অনুসারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা। অঞ্জলি ও আরতি অনুষ্ঠান (সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী) টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা। মন্দিরের প্রবেশ পথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখা। পূজামণ্ডপে আগত সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা এবং মন্দির ও আশপাশ এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা। শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন পরিহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা। সকল পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, হ্যান্ডহেন্ড মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করা। পূজামণ্ডপে আগতদের দেহ তল্লাশী এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। স্বেচ্ছাসেবকদের এসবি দ্বারা ভেটিং করানো এবং তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার প্রেরণ করা। নারীদের তল্লাশীর ক্ষেত্রে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করা। একসাথে ১০ জনের বেশি মন্দিরে প্রবেশ করবে না এবং একজন হতে অন্যজনের দূরত্ব ৩ ফিট হতে হবে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *