April 19, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

অভয়নগরে প্রতারণার শিকার দরিদ্র পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে জমির বিরোধ মেটাতে সেই কথিত সাংবাদিক বদরুজ্জামানের অভিনব প্রতারণার শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি দরিদ্র পরিবার। রবিবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ভুক্তভোগী মুকিতুর রহমান মোল্যার মেয়ে রেহেনা খাতুন।
তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির বিরোধ মেটাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী কয়েক দফা বৈঠক করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে জমি দখল, গাছপালা কর্তণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় আমার চাচা খুন হয়। এ ঘটনায় পৃথক ৫টি মামলা হয়। ওই জমির বিরোধ মেটাতে আমাদের কাছে আসেন কথিত সেই সাংবাদিক বদরুজ্জামান। তিনি বিরোধ মেটাতে আমার বাবা, চাচা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডেকে নিয়ে যান তাঁর নূরবাগস্থ বস্তাপট্টির জামান হোমিও হলে। এসময় বদরুজ্জামান নিজেকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিরোধ মেটাবে বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দিতে চাইলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি সহ সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে গত ১০ এপ্রিল একটি মনগড়া শালিশ নামা তৈরি করেন বদরুজ্জামান। সেই শালিম নামায় জোরপূর্বক আমার বাবার স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর না দেওয়ায় আমার বাবা সহ আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। শুরু করা হয় প্রশাসন দিয়ে হয়রানি। হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েক দফা বদরুজ্জামানকে টাকা দিয়েও বন্ধ হয়নি তার প্রতারণা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত ও ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দিতে বলেন। কথিত সাংবাদিক বদরুজ্জামানের অত্যাচারে আমরা চরম অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। এধরণের প্রতারক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, রেহেনা খাতুনের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাবা মুকিতুর রহমান মোল্যা, মা আনজিরা বেগম, ফুপু শাহিদা বেগম ও শাকিলা বেগম, চাচি রেবেকা বেগম প্রমুখ।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *