May 4, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

খুলনায় আরও ৯০ জনের করোনা শনাক্ত, উপসর্গে ৫ জনের মৃত্যু

দ. প্রতিবেদক
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ৮৫ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিদের মধ্যে ৩ জন বাগেরহাট জেলার, নড়াইল ও সাতক্ষীরা জেলার একজন করে রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার পর এ তথ্য জানা গেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, বৃহস্পতিবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৭২টি। এদের মধ্যে মোট ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৮৫ জন খুলনার। বাকিদের মধ্যে বাগেরহাট জেলার ৩ জন, নড়াইল ও সাতক্ষীরা জেলার একজন করে রয়েছেন।
এদিকে খুলনায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উপসর্গ নিয়ে একজন শিক্ষকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- খালিশপুরের বাসিন্দা, খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মো. জান্নাতুল ফেরদৌস (৪০), খুলনা মহানগরীর বাগরামার সোহরাব শেখের ছেলে হারুন শেখ (৫৫), রায়েরমহল এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বাবু (৪৫), টুটপাড়া এলাকার মৃত মতিউর রহমান এর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬২) ও জোড়াগেট এলাকার মৃত হাফেজ আলীর ছেলে মোঃ সরোয়ার হোসেন (৫০)।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ডা. মিজানুর রহমান জানান, খালিশপুর এলাকার ফেরদৌসকে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে বুধবার দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
জ্বর, কাশির সমস্যা নিয়ে হারুন শেখ বুধবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১ টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবু মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ৩ দিন ধরে জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুজিবুর খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় তার মৃত্যু হয়। একই সমস্যা নিয়ে জোড়াগেট এলাকার সরোয়ার খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১১টায় তারও মৃত্যু হয়।
মৃত ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ডা. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *