May 19, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলার তিন আসামীর জবানবন্দি

দ. প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার শিশু ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার ও মিডিয়া উইং এর মুখপাত্র মনিরুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামীরা হল- ৬নং ওয়ার্ডের জাব্দিপুর কদমতলা মোড়ের মো. রাজ্জাক মোল্লার ছেলে পারভেজ মোল্যা (২২), ৭নং ওয়ার্ডের জাব্দিপুর এলাকার মৃত শাহিদুল শেখের ছেলে মো. আজিজুর রহমান শেখ (২০), ৬ নং ওয়ার্ডের জাব্দিপুর হুমায়ুন কবির বিল্লাল এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া নাহিদ ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (১৭)।

পুলিশ কর্মকর্তা মিঠু জানান, খানজাহান আলী থানার গত ২ মে’র ধর্ষণ মামলার আসামিদের গত ৬ মে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে। এরপর ৭ মে তারা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুস সামাদে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় যোগীপাল এলাকার বিল্লালের বাড়ির ভাড়াটিয়া ৪র্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে (১৪) আমিনুল, আজিজুল ও পারভেজ (২২) কৌশলে ডেকে পাশ্ববর্তী মুফতি মানসুরুর রহমানের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ সময় বাড়ির মালিক মানসুরুর রহমানের ছেলে সানাউল্লাহ ঘটনা দেখে ফেলায় ধর্ষকরা ওই ছাত্রীর সঙ্গে সানাউল্লাহ’র ছবি মোবাইল ধারণ করে। ঘটনার পরদিন ধর্ষকরা ওই ছবি দেখিয়ে সানাউল্লাহর পিতা মানসুরুর রহমানের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে মানসুরুর রহমান ওই ছাত্রী ও তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা ঘটনা খুলে বলে।

পরবর্তীতে ১ মে ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের এ ঘটনায় ২ মে থানায় উল্লিখিত ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *