April 20, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

কয়রায় ট্রিপল মার্ডারে পুলিশ হেফাজতে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

 

দ. প্রতিবেদক

খুলনার কয়রায় ট্রিপল মার্ডারের মামলায় ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলার বামিয়া গ্রামের আবু বকর গাজীর দুই ছেলে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ (৩৫) ও শামীম (৩৮), মৃত নুরমান গাজীর ছেলে আব্দুল হক (৬০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা, আরশাদ সানার ছেলে মোস্তফা (৪০), আলী গাজীর ছেলে আল আমিন (৩৫) এবং আব্দুর রশিদ (২৬)। ঘটনার পর থেকে আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ (২৬) পলাতক ছিলেন।

বামিয়া গ্রামের আবু বকর গাজী জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে পুলিশ এসে তাকেসহ তার দুই ছেলেকে আমাদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আব্দুল ওহাব ও তার স্ত্রী, মোস্তফা দোকানদার, আল আমিন এবং আসলামকে দেখতে পান। এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের গাড়ীতে তাকে ও আসলামকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার রাত আটটার দিকে যশোর থেকে আব্দুর রশিদকে পুলিশ আটক করে। পরে তাদের এলাকা থেকে ৭ থেকে ৮ জনকে পুলিশ সাথে করে আমাদীর দিকে নিয়ে যায়। তবে বর্তমানে কোথায় রাখা হয়েছে সেটা তারা বলতে পারেননি।

আমাদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম বলেন, ‘রাতে ঊর্ধ্বতন স্যাররা ফাঁড়িতে কয়েকজনকে নিয়ে আসেন এবং কিছুক্ষণ পরে সাথে নিয়ে চলে যান।’ তিনি এর থেকে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে খুলনা জেলা ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুলনার সহকারি পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, নতুন করে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ক্লু উদ্ধারে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ক্লু পেলেই আপনাদের জানানো হবে।

২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনিকে (১৩) হত্যা করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মাজেদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কয়রা থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-  ২৪/২১।

নিহত পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রæতা থাকায় ঘটনার দিন চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে ৩ জনকে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ডে তেমন কোন তথ্য পায়নি পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। আটকৃতরা হলেন, বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া (৪১), কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানা (৩৮) ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের মৃত্যু মোকছেদ আলী সরদারের পুত্র আঃ খালেক (৬৫) ।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *