May 22, 2024
আঞ্চলিক

কেএসআরএমের কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

দেশের স্বনামধন্য শিল্পগ্রæপ কেএসআরএম লিমিটেডের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডস্থ কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার সময় এক দল অপরিচিত লোক ওই কারখানায় জোরপূর্বক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কারখানায় দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তারা কারখানায় প্রবেশের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে তারা চলে যান।

জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় কেএসআরএম লিমিটেডের জায়গা নিয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে একের পর এক অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়া স্থানীয় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ব্যবহার করে মহলটি ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মূলতঃ কেএসআরএমের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুণœ করার পাশাপাশি তারা ওই জায়গার কিছু অংশ অবৈধ দখলে নিতে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এ প্রসঙ্গে কেএসআরএম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শাখওয়াত হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত লোক এসে আমাদের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করতে চায়। আমরা তাদেরকে পরিচয়পত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি। অথচ ওই জায়গায় স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একটি চিহ্নিত মহলের ইন্ধনে কিছু লোক অবৈধভাবে কারখানা অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। মূলতঃ ওই মহলটি এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় আনোয়ারা জুট মিলের দুই দফায় ৪৫ দশমিক ৮৮ একর জায়গা কিনেছি উচ্চ আদালতের নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে। এতে আমাদের ব্যয় হয়েছে ১১৬ কোটির অধিক টাকা। সেই ধারাবাহিকতায় জমির নামজারি ও খাজনা পরিশোধসহ যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই জায়গা আমাদের ভোগ দখলে আছে। বর্তমানে সেখানে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। কিন্তু চিহ্নিত একটি মহল বিশেষের ইন্ধনে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বিভিন্নভাবে আমাদের জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে এবং পেশীশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবে তা দখলে নিতে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এসব আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুণœ করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *