May 17, 2024
আন্তর্জাতিক

করোনা সংকটের মধ্যেই ফুটবল ফেরাতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

করোনা ভাইরাস মহামারিতে জেরবার পুরো বিশ্ব। কিন্তু শুরুতে বিষয়টাকে গুরুত্বই দেয়নি ব্রাজিল সরকার। ফলাফল দক্ষিণ আমেরিকায় করোনার অন্যতম হটস্পট এখন দেশটি। অথচ এই সংকটের মধ্যেই দেশে ফের ফুটবল মৌসুম শুরু করার পক্ষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো।

যে কয়েকজন বিশ্বনেতা করোনা ঝুঁকিকে গুরুত্বের চোখে দেখেন না বোলসোনারো তাদের মধ্যে অন্যতম। শুরু থেকেই তিনি করোনাকে ‘সামান্য ফ্লু’ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন। এখন তার নতুন দাবি, শারীরিক ফিটনেসের কারণে খেলোয়াড়দের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কম। তার এমন মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে ব্রাজিলে।

গত ১৫ মার্চ ব্রাজিলের প্রায় সবগুলো ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখা হয়েছে। এই মে মাসেই ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু দেশটির করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাজিলের সামনে আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অথচ দেশটির প্রেসিডেন্ট ‘রেডিও গুয়াইবা’কে বলেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই আছে যারা ফেরার জন্য প্রস্তুত, কারণ ক্লাবগুলোর দরজায়ও বেকারত্ব কড়া নাড়ছে। ফুটবলাররা যদি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ও, তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশ কম। কারণ তাদের শারীরিক অবস্থা, কারণ তারা অ্যাথলেট।’

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তার নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দর্শকশূন্য মাঠে ফুটবল ফেরানোর ব্যাপারে কাজ শুরু করবেন। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে অনেক খেলোয়াড় খেলতে রাজি হবে না।

তিনি বলেন, ‘ফুটবল পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত আমার একার নয়। কিন্তু আমরা সাহায্য করতে পারি।’ তিনি জানান, গ্র্যামিও কোচ রেনাতো পোর্তলুপ্পির সঙ্গে এই ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেহ তিনি। তবে গ্র্যামিও কোচ নাকি তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, খেলোয়াড়রা এখনও করোনা নিয়ে চিন্তিত।’

প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ব্রাজিলে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন জানিয়ে দিয়েছে, ফুটবল অবশ্যই ফিরতে পারে, কিন্তু এজন্য সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সাও পাওলো ক্লাবের পরিচালক ও ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী রাই তো বোলসোনারোর দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন।

ব্রাজিল যখন পুনরায় ফুটবল ফেরাতে চাইছে, তখন পাশের দেশ আর্জেন্টিনায় ২০১৯-২০ মৌসুমের বাকি অংশের খেলা বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপে ফ্রান্সও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্তের কারণে লিগ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ঘরে তুলেছে পিএসজি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *