করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ খুবি’র
দ. প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খুলনায় এই ভাইরাস শনাক্তে ব্যাপকভাবে নমুনার চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক একটি রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক যোগাযোগ ও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে এই ল্যাব স্থাপন করা হবে। এই ল্যাব স্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে সহায়তা কামনা করছেন। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে ল্যাবটি স্থাপনের কাজ যথাসম্ভব শীঘ্র শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ল্যাবটি করোনা ভাইরাস শনাক্ত ছাড়াও অন্যান্য অণুজীব পরীক্ষায়ও কাজে আসবে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভার সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এই উদ্যোগের কথা ব্যক্ত করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, সংশ্লিষ্ট নৈতিকতা কমিটি, কোর কমিটি, ইনোভেশন কমিটি, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), বিভিন্ন ডিসিপ্লিন (বিভাগ) প্রধান, সিইটিএল ও আইকিউএসির পরিচালক, কমিটির অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত পরিচালক এবং ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা সংযুক্ত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি চলতি অর্থ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং আগামী অর্থ বছরের পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করেন এবং বেশ কিছূ নির্দেশনা দেন। সভায় কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয় এবং তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উপাচার্য চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে একাডেমিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালভাবে পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বলেন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রদান। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি পরিকল্পনা উন্নয়ন এবং প্রকৌশল বিভাগকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। করোনা পরিস্থিতি চলমান থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ তাদের মাসিক বেতন-ভাতা তারা যাতে সহজ উপায়ে পেতে পারেন সে জন্য অর্থ ও হিসাব বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।